ঢাকা: মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৯ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়েছে।
ইনিংস সূচনার পর প্রথম রেকর্ডটি গড়েন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম জুটি। এদিন ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন তামিম ও মুশফিক। তৃতীয় উইকেটে ১৭৮ রানের জুটি গড়েন এরা দু’জন।
এর আগে যে কোনো উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৭৫। ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে রাজিন সালেহ ও হাবিবুল বাশার চতুর্থ উইকেটে ১৭৫ রানে অবিচ্ছিন্ন থাকেন।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে রেকডর্টি ভাঙতে সক্ষম হন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের নান্দনিক ব্যাটিংয়ে পেছনে পড়লো আগের রেকর্ডটি।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬৭ রানে দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এর পর তামিম ও মুশফিকের অসাধারণ এক জুটি গড়ে তোলেন। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করে এই জুটি। দলীয় ২৪৫ রানে তামিম ইকবাল (১৩২) ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হলে ভাঙ্গে রেকর্ড জুটিটি।
তামিমের বিদায়ের পর মুশফিক সেঞ্চুরি (১০৬) তুলে নিলে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিয়ান পায় বাংলাদেশ। এক ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি করার নজির বাংলাদেশের ক্রিকেটে এটিই প্রথম।
তামিম-মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান (৩১) ও সাব্বির রহমানের (১৫) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের (৩২৯) রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। এর আগে ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষেই ৩২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ দল। যা ছিল বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
এসকে/এমএমএস