ঢাকা: পাকিস্তানকে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত সূচণা করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্সের আত্নবিশ্বাস-ছন্দ সবই ধরে রেখেছে টাইগার শিবির।
বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ-অ্যাপ্রোচে পরিবর্তন স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটাই চেয়েছিলেন মাশরাফি। ‘আমি ক্যাপ্টেন হওয়ার পর সব সময় চেষ্টা করেছি টিমের বডি ল্যাংগুয়েজটা ভালো রাখতে। এখন ভালো সময় যাচ্ছে আমাদের। ডিফিকাল্ট সিচুয়েশনেও আমাদের বডি ল্যাংগুয়েজ কেমন থাকে-আমি দেখতে চাই। সবাই এটা নিয়ে কাজ করছি। এটা মাঠে কাজ করার বিষয় না। এটা নিজের সাথে নিজের কাজ। ’
প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা । বিশ্বকাপে স্লো-ওভাররেটের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন টাইগার দলপতি। শুক্রবার অধিয়াকত্ব (ভারপ্রাপ্ত) করেছেন ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রোববারের ম্যাচে মাঠে ফিরবেন মাশরাফি। টিম হোটেলে দলের নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে হোটেল রুমের কাছাকাছি লবিতে সাংবাদিকদের অপেক্ষা। শুক্রবারের ম্যাচের গল্প করেই কাটছিল সবার সময়। হঠাৎ দেখা গেল বাংলাদেশ দলের লিটলম্যান মুমিনুল হককে। গোসল করে সবেমাত্র বের হয়েছেন, নিজ কক্ষে যেতে হলে সাংবাদিকদের কাছ ঘেষতে হবে। মুমিনুলকে তাই-ই করতে হলো। ভেজা শরীরে তাওয়াল পেঁচিয়ে সেখান দিয়ে হেটে গেলেন। ক্যামেরা দেখে দৌড়ে পালালেন (লজ্জা পেয়ে)।
মুমিনুলের পেছন পেছন নিজ কক্ষে প্রবেশ করলেন সৌম্য-তাসকিন-নাসির- রিয়াদ-রুবেল- মুশফিক-আবুল-সানীরাও। সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্রিকেটাররা করমর্দনও করলেন। সবার চোখে-মুখে তখন বিজয়ের হাসি।
হয়তো সাকিব-তামিমের ঘুমটা ওদের (অন্য ক্রিকেটারদের) আগেই ভেঙেছিল! ফ্রেস হয়ে নাস্তা সারতে সিড়ি দিয়ে নেমে গেলেন দু’জন। ধীরলয়েই হাটলেন তারা। ফটো-সাংবাদিকদের ছবি তোলার সুযোগও দিলেন।
হোটেলের সম্মেলন কক্ষে মাশরাফি যখন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন তখন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল প্রাইভেটকার নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেলেন। বাকীরা তখন হোটেল লবিতে আড্ডা-দুষ্টুমিতে রত।
প্রথম ম্যাচ জিতে ফুরফরে মেজাজে রয়েছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। আজ ক্রিকেটারদের অনুশীলন ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষে হারের গেরো ভাঙতে পারার আনন্দের রেশও কাটেনি টাইগার-শিবিরে। তাইতো, দারুণ আমেজে কেটেছে ক্রিকেটারদের বিশ্রামের দিনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
এসকে/এমএমএস