ঢাকা: গ্যালারী তখনও দর্শকে পূর্ন হয়নি। গ্যালারীর কিছু কিছু আসন তখনও ফাঁকা।
দর্শকের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটের রয়েছে আবেগী এক সম্পর্ক। মাঠে দর্শকের আওয়াজ-গর্জন যত বেশী থাকে ততটাই উজ্জীবিত হন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে শুরু করে দর্শকরা।
টস জিতে ব্যাট নেয়া আজহার আলীরা ম্যাচের শুরুতে তেমন সুযোগ না দেওয়ায় কিছুটা হতাশায় ডুব দিয়েছিল টাইগার শিবির। দর্শকের তেমন আওয়াজ ছিল না গ্যালারীতে। অধিনায়ক মাশরাফি তখন উইকেট তোলার চেয়ে রান আটকাতেই বেশী ব্যস্ত।
রান চেপে ধরতে পারলে উইকেট আপনি-আপনিই আসবে-এটা মাশরাফির চেয়ে ভালো আর কে জানে! লং-অফ ফিল্ডারকে সীমানার কাছেই রাখলেন। নিজে চলে এলেন শর্ট কাভারে-সিঙ্গেল আটকাতে। কে জানে, এটাই হয়তো চাপ হয়ে দাড়িয়েছিল পাক-ব্যাটসম্যানদের জন্য!
পাকিস্তানের উইকেটের পতন ঘটলো তারপরের ওভারেই। রুবেল হোসেন বোলিংয়ে আসতেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। উইকেটরক্ষক মুশফিকের চেয়ে বড় একটি দূরত্ব নিয়েই প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সৌম্য সরকারের দিকে হাওয়ায় ভাসলো সরফরাজের ক্যাচ। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ ভঙ্গিমায় ক্যাচটি লুফে নেন সৌম্য। দর্শকের গর্জনে তোলপাড় হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম। যেন বাঁধ ভাঙার গর্জন।
সেই গর্জন থামার আগেই আরাফাত সানি এনে দেন আরেকটি গর্জনের উপলক্ষ। সানির ঘূর্নি জাদুতে পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ফেরেন শূন্য রানে। এর পর সাকিব ফেরান ৩৬ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলীকে। মাঠে বইলো আরেকটি গর্জন।
নাসির হোসেন নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান ফাওয়াদ আলমকে (০)। এবারের গর্জনটি ছাপিয়ে গেল আগের সব গর্জনকে। ৫৯ রানে পাকিস্তানের চার উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম এখন মাশরাফিদের হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘন্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এসকে/আরএম