ঢাকা: বিশ্বকাপের ফর্ম ধরে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম করেছিলেন চার ম্যাচে ১২৯ রান (১৬, ৪, ৭৮ এবং ৩১)। আর সে ফর্মকে আরও দৃষ্টিনন্দন করতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই খেলেছেন অসাধারণ দু’টি ইনিংস।
সফরকারীদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৭ বল মোকাবেলায় পাক বোলারদের তুলোধুনো করে ১৩টি চার আর দুটি ছয়ে মুশফিক করেন ১০৬ রান। ৭৯ রানের জয়ের ম্যাচে টাইগারদের নায়ক হিসেবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে মাত্র ৬৯ বলে শতক করা মুশফিকের হাতে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে টাইগার দলপতি মাশরাফি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুশফিক বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের ব্যাটিং স্তম্ভ। সে টাইগারদের রান-মেশিন। অধিনায়কের বলা কথার প্রতিদান দিয়ে মুশফিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেন ৬৫ রান। ৭০ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার আর একটি ছয়ের সাহায্যে।
বিসিএলের আসর বাদে টাইগারদের রান-মেশিনের সর্বশেষ ১৪টি ইনিংসে এসেছে ৭৫৪ রান। যা গড়ে ৫৩.৮৬। এর মধ্যে রয়েছে সাতটি অর্ধশতক আর একটি শতক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২২টি অর্ধশতক হাঁকানো মুশফিকের সর্বশেষ ১৪টি ইনিংসে ৭০ রানের বেশি ইনিংস রয়েছে তিনবার, একবার খেলেছেন ৮৯ রানের ইনিংস।
ওয়ানডেতে ১৪৮ ম্যাচ খেলা মুশফিক ১৩৭ ইনিংস থেকে করেছেন ৩,৬২২ রান। ২০ বার অপরাজিত থাকা টাইগার এ ব্যাটসম্যানের ওয়ানডে গড় ৩০.৯৫। তিনবার তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছানো মুশফিকের ইনিংস সর্বোচ্চ রান ১১৭।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল ২০১৫
এমআর