ঢাকা: সাত বছর আগের ক্ষত, তাও আবার এই এপ্রিলেই। সেবার পাঁচ ম্যাচ সিরিজে নিজেদের মাঠে টাইগারদের ‘হোয়াইটওয়াশ’ করেছিল পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচের মতো বাংলাদেশ-পাকিস্তান মধ্যকার তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের শেষ ম্যাচেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। এর মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে পাকিস্তানের মাটিতে ৫-০’তে হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নিল টাইগাররা।
২০০৮ সালে হোয়াইটওয়াশ হওয়া ওই সিরিজের পাঁচ খেলোয়াড় রয়েছেন টাইগার দলে। সুযোগ পেয়ে সে জ্বালা মিটিয়ে নিলেন মাশরাফি, মুশফিক, তামিম, সাবিক ও মাহমুদুল্লাহ। তবে ওমর গুল ছাড়া আর কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে সে জ্বালা নিতে হচ্ছে না।
৮ এপ্রিল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ওডিআইয়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে বাংলাদেশকে ১৫২ রানে হারায় শোয়েব মালিকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
১১ এপ্রিলের দ্বিতীয় ম্যাচেও ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে পাকিস্তানের কাছে হারে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
১৩ এপ্রিল তৃতীয় ম্যাচে হারের ব্যবধান কমাতে মরিয়া টাইগাররা ৩০৯ রানে বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নামে। প্রথম দুই ম্যাচে কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারলেও সাকিবের অর্ধশতকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে হেরে যায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ২৩ রানে জয় দিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
সিরিজ হারের পর মানসিক বিপর্যস্ত টাইগাররা ১৬ এপ্রিলের ম্যাচেও হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ওই ম্যাচে সাত উইকেটে হারলেও শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ হন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব।
সবশেষ ১৯ এপ্রিলের ম্যাচে ১৫০ রানে হারে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের করা ৩২৯ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে ১৭৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা টাইগারদের সামনে সাত বছর পর সে সুযোগ তৈরি হয়। আর তার সদব্যবহার করতে ভোলেন নি তামিম, মাশরাফি, সাকিব আর তরুণ-তুর্কি সাব্বিররা।
১৭ এপ্রিল মিরপুর শেরে বাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৯ রান করে টাইগাররা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তরুণ অধিনায়ক আজহার আলীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান টিম টাইগার বোলিং তোপে ২৫০ রানেই গুটিয়ে যায়। এতে ৭৯ রানে জয় নিয়ে ‘প্রতিশোধ’র সূচনা করে টাইগাররা।
১৯ এপ্রিল একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। এ ম্যাচেও টাইগার বোলিং তোপে আড়াইশ রানের কোটা পেরুতে ব্যর্থ হয় দলটি। জয়ের জন্য টাইগারদের ২৪০ রানের টার্গেট দিলে ৩৮ ওভার ১ বলে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ‘হোয়াইটওয়াশ’র আরেক ধাপ এগিয়ে যায় টাইগাররা।
অবশেষে ২২ এপ্রিল আসে সে মোক্ষম সময়। এবারও টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান থেমে যায় ২৫০ রানে। অনেকটা ‘সহজ’ টার্গেটে ব্যাট করতে নামা দুই ওপেনারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এর মাধ্যমে ‘প্রতিশোধ’র ষোলকলা পূর্ণ করলো টাইগাররা।
বিশ্বকাপ বাংলাদেশকে অনেকটা পাল্টে দিয়েছে, ক্রিকেটবোদ্ধারা এমনটা বললেও মাঠের লড়াইটায় আসল। তবে দলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে বেশ খুশি টাইগার সমর্থকরা। পাকিস্তানের পর ‘হেয়াইটওয়াশ’র তালিকায় কে বা কারা এবার তা দেখার অপেক্ষা...!
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
জেডএস