খুলনা থেকে: গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ, চারদিক খাঁ খাঁ রোদ। ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটছে মানুষ, যেন জনস্রোত।
ওয়ানডেতে বাংলাওয়াশের পর একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও পাকিস্তানকে পরাজিত করার পর প্রথম টেস্ট ম্যাচে টাইগারদের ভালো খেলা দেখার আশায় সকাল থেকেই স্টেডিয়ামে জায়গা নিতে ব্যাকুল হাজারো কিশোর-তরুণ।
বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা, যশোরসহ আশপাশের জেলা থেকে এসেছে মানুষ। সকালেই ঝাঁঝাল রোদে দাঁড়িয়ে যান তারা লাইন দিয়ে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার পরও স্টেডিয়ামের ফটকের সামনে ভেতরে প্রবেশের জন্য টিকিট হাতে হাজারো মানুষের সারি সারি লম্বা লাইন। যারা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে সরাসরি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের খেলা উপভোগ করবেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢোকার জন্য মানুষের ঠেলাঠেলি, ধস্তাধস্তি।
লাইনে দাঁড়ানো ক্রিকেট প্রেমীরা জানান, মঙ্গলবার টেস্টের প্রথম দিন টাইগাররা ভালো খেলায় ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ বেড়ে গেছে।
লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় কথা হয় বাগেরহাট থেকে খেলা দেখতে আসা আব্দুল্লাহ এর সাথে। তিনি বলেন, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম বাংলাদেশের লাকি ভেন্যু। এর আগে এই স্টেডিয়ামেই এক সময়কার বিশ্ব ক্রিকেটের ‘মোড়ল’ ক্লাইভ লয়েড-ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও কেনিয়াকে হারিয়েছে টাইগার বাহিনী। এবারও খুলনায় টাইগাররা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে। টেস্টের প্রথম দিনের খেলাই তার প্রমাণ।
তিনি জানান, বুধবারের খেলা দেখতে রাতের ঘুম হারাম করে ভোর হতেই ব্যাংকের সামনে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানেও লম্বা লাইন ছিলো এখানেও প্রবেশের সময়ও লম্বা লাইন।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মৌসুমী সাহা বলেন, টিকিট কিনতে এক কষ্ট। এখন আবার বাঁশের ব্যারিকেডের মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকতে আরেক কষ্ট।
তবে যারা টিকিট পাননি তাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। রামপাল থেকে আসা সোহান নামের এক ক্রিকেটপ্রেমী বলেন, বহু প্রতীক্ষিত টিকিট নামের সোনার হরিণ আমি ধরতে পারিনি। তারপরও স্টেডিয়াম এলাকায় এসেছি ভেতরে না যেতে পারলেও ক্রিকেট আনন্দে শরীক হতে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৫
এমআরএম/এমআর