ঢাকা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৫১তম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কোলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টাইগারদের একমাত্র প্রতিনিধি সাকিব ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেছেন ক্রিকেটের ক্ষুদ্র ফরমেটে।
বোলিংয়ে সাকিব আর ব্যাটিংয়ে ইউসুফ পাঠানের দারুণ পারফর্মেও মাত্র ৫ রানে হারতে হয়েছে কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
সাকিবের কোলকাতার প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলাতে নামা রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭১ রান সংগ্রহ করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো মুম্বাই এক পর্যায়ে ৭৯ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে আর কোনো উইকেট না খুঁইয়ে মুম্বাই আরও ৯২ রান যোগ করে।
দলীয় ২৯ রানের মাথায় মুম্বাই তাদের প্রথম উইকেটটি হারায়। ওপেনিংয়ে নামা পার্থিব প্যাটেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন সাকিব। প্যাটেল সাকিবের শিকারে ফিরে যাওয়ার আগে করেন ২১ রান। এছাড়া আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স কোলকাতার পেসার মরনে মরকেলের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১৪ রান।
মুম্বাই দলপতি রোহিত শর্মা কোলকাতার স্পিনার সুনীল নারাইনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন। দলীয় পঞ্চম ওভারে প্যাটেলকে ফিরিয়ে সাকিব সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে ফিরিয়ে দেন ২ রান করা আম্বাতি রাইডুকে।
এরপর কাইরন পোলার্ড আর হারদিক পান্ডে মিলে অবিচ্ছিন্ন ৯২ রানের জুটি গড়েন। পোলার্ড ৩৮ বলে ৩৩ রান করলেও পান্ডে ছিলেন দারুণ আক্রমণাত্বক। মাত্র ৩১ বলে তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর দুটি ছক্কা। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে পান্ডে ৬১ রান করেন।
কোলকাতার অন্য বোলারদের যখন নাস্তানাবুদ অবস্থা তখন সাকিবের বলে মুম্বাই ব্যাটসম্যানদের দিশেহারা অবস্থা। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে সাকিব মাত্র ২২ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন।
১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে থেমে যায় সাকিবদের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে ইউসুফ পাঠানের ব্যাট থেকে। হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়ার আগে ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলেন। ৩৭ বলে পাঠানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর দুটি ছক্কা।
দলের হয়ে ওপেনিংয়ে নামা রবিন উথাপ্পা ২০ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর ২৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে করেন ৩৮ রান। মাঝে মনিষ পান্ডে এক রান করে বিদায় নেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব তিনটি চারের সাহায্যে ১৫ বলে ২৩ রান করে আউট হন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য কোলকাতার দরকার ছিল ১২ রান। কাইরন পোলার্ডের প্রথম বলে পাঠান আউট হয়ে ফিরে গেলে পরের ৫ বলে ৬ রান তুলতে সমর্থ হয় কোলকাতা। ফলে, মাত্র ৫ রানে হারতে হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, ১৫ মে ২০১৫
এমআর