ঢাকা: হতে পারতো আরো বড় কোনো দুর্ঘটনা। মাশরাফির দূরদর্শিতার কারনেই হয়নি।
মাশরাফির আহত হওয়ার ঘটনায় যখন সবাই উদ্বিগ্ন, তখন নিজ থেকেই সাংবাদিকদের কাছে এগিয়ে আসেন মাশরাফি। গল্পের ছলেই ব্যাখ্যা করেন পুরো ঘটনা, ‘পেছনের বাসটি যে একটু এলোমেলো চালাচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলাম। রিকশায় বসেই তাই খেয়াল রাখছিলাম বাসটির দিকে। যদি খেয়াল না করতাম বা অন্যমনস্ক থাকতাম, তাহলে হয়তো বাসের ধাক্কায় আরও গুরুতর কিছু হতে পারত। আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের একটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। বাসটি যখন আমার রিকশার কাছাকাছি এসে প্রায় ধাক্কা দেবে তখন বুঝতে পেরেই আমি লাফ দেই। বাস ঠিকই ধাক্কা দেয় রিকশাকে, রিকশার চাকা ভেঙে যায়। পেছনেই ছিল একটি পুলিশের গাড়ি। ওরা এসে আমাকে টেনে তোলে।
হাসপাতালেও নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আমি ধন্যবাদ জানিয়ে বলি, নিজেই ব্যবস্থা করে নেব। ’
সকাল ৯টার পর বাসার কাছাকাছি কালশি রোডে এসে দুর্ঘটনায় পড়েন মাশরাফি। রিকশা থেকে লাফিয়ে পড়ায় দুই হাতের তালুর উল্টো পিঠ ছুলে গেছে। হাঁটুতেও পেয়েছেন চোট।
বাস ও বাসের চালককে আটক করেছিল পুলিশ। তবে মাশরাফিই পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের ছেড়ে দিতে। পুলিশ সদস্যই মিরপুর স্টেডিয়ামে পৌঁছে দেন মাশরাফিকে। বিসিবির চিকিৎসকরা তার দুই হাতে ও হাঁটুতে ব্যান্ডেজ করে দেন। মাশরাফির সুস্থ হতে ৭-১০ দিনের মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খান।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই দলে পাওয়া যাবে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ককে। আগামি ১৮ জুন মিরপুরে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এসকে/এমএমএস