ঢাকা: দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষে স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার পর ভারতীয় সমর্থক সুধীর গৌতমের ওপর হামলা হয়েছে বলে যে খবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয় বলে জানা গেছে।
ভারতীয় এই সমর্থককে বাংলাদেশি সমর্থকরা ‘মওকা মওকা’ বলে টিপ্পনি কেটেছেন।
রোববার (২২ জুন) ভারতকে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নেয় বাংলাদেশ। গ্যালারিতে বাংলাদেশি সমর্থকদের সঙ্গে ভারতীয় সমর্থক সুধীরও ম্যাচ উপভোগ করেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এপিবি নিউজ দাবি করে মুখ ও শরীরে ভারতের পতাকা এঁকে খেলা দেখতে যাওয়া সুধীর বের হওয়ার পর টাইগার সমর্থকদের তোপে পড়েন।
কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুধীরের ওপর শারীরিক আক্রমণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে কোনো কোনো সমর্থক টিপ্পনি কেটেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি অনলাইনের ফটো সাংবাদিক বলেন, খেলা শেষে পৌনে ১২টার পরপরই ভিআইপি গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় বাংলাদেশের সমর্থকরা সবাই সুধীর গৌতমকে ঘিরে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলছিল। ‘মওকা-মওকা’ বলেও টিটকারি করেন কয়েকজন।
বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে ভারতীয় এক সমর্থক বাংলাদেশ দলকে টিপ্পনি কেটে ইউটিউবে একটি ভিডিও আপ করেন। এরপর বাংলাদেশি সমর্থকরাও তার জবাবে বেশ কিছু ‘মওকা মওকা’ ভিডিও আপ করেন ইউটিউবে। এরপর থেকেই দুদেশের সমর্থকরা পরস্পরকে ‘মওকা মওকা’ বলে টিপ্পনি কেটে আসছেন।
সুধীরের ওপর হামলার খবর বানোয়াট দাবি করে ওই ফটো সাংবাদিক বলেন, সুধীর সিএনজি ভাড়া করার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ সমর্থকরা তাকে ঘিরে টিপ্পনি কাটতে থাকেন। ভিড় দেখে সেখানে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেন। এ সময় কয়েকজন সমর্থক তাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলেও উপহাস করেন।
সুধীরকে উদ্ধৃত করে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, বাংলাদেশের এক দল সমর্থক ভারতের এই সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়েছিল। তার অটোরিকশা লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়।
অথচ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুধীরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ভারতীয় ক্রিকেট দল ও শচীন টেন্ডুলকারের জন্য জীবন উৎসর্গের ঘোষণা দেওয়া সুধীরের ঘটনাটিকে ‘হামলা’ বলে ভারতের প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে। ভারতের খেলা দেখতে এ নিয়ে অষ্টমবার ঢাকায় এসেছেন সুধীর। এর আগে কখনই কোনো বিরূপ পরিস্থিতিতে তাকে পড়তে হয়নি।
হামলা প্রসঙ্গে মিরপুর থানা পুলিশ জানায়, ভারতীয় সমর্থকের ওপর হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার কাইয়ুমউজ্জামান বলেন, স্টেডিয়ামসহ পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ। ওই এলাকায় কারও ওপর কেউ হামলা করেছে বা আক্রমণ করেছে, এরকম কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
এমজেএফ/