ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘যা শিখেছি তাই করার চেষ্টা করেছি’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
‘যা শিখেছি তাই করার চেষ্টা করেছি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মুস্তাফিজুর রহমান, টাইগার এ বাঁহাতি পেসারের ‘আগ্রাসী’ বোলিং এখন বিশ্বক্রিকেটে অন্যতম আলোচনার বিষয়। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় এই টিন এজারের।

  ওই সময় বাংলাদেশ সফরে এসে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান।

এরপর এক টেস্ট ও তিনটি ওডিআই খেলতে গত ৭ জুন বাংলাদেশ সফরে আসে ভারত। বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্ট ফলশূন্য থাকলেও প্রথম দুই ওডিআইয়ে সফরকারীদের বিপক্ষে বিশাল জয় তুলে নেয় টাইগাররা। ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর এবার হোয়াইটওয়াশের পালা। আর ৭৯ ও ৬ উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান। দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান এ তরুণ।

সম্প্রতি মুস্তাফিজুরের সঙ্গে কথা হয় ক্রিকেট.কম.এইউ’র। সাক্ষাতকারে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও নিজের যোগ্যতার কথা তুলে ধরেন মুস্তাফিজ।

বিশেষ ওই সাক্ষাতকারে মুস্তাফিজ বলেন, পরপর দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কথা কেউই চিন্তা করতে পারেন না। যা শিখেছি আমি তাই করার চেষ্টা করেছি।

ভারতের দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইন-আপ রয়েছে। আমি শুধু সঠিক জায়গায় বল ফেলার চেষ্টা করেছি, বলেন মুস্তাফিজ।

প্রথম ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক ধোনির ‘ধাক্কা’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাফিজ বলেন, এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। ক্রিকেটে এ ধরনের ঘটনা হয়েই ‍থাকে।

পাকিস্তানি বাঁহাতি পেসার আমিরকে আইডল মানেন মুস্তাফিজ। বিষয়টি জানার পর আমির বলেন, বিষয়টি শুনে আমার ভালো লাগছে। একজন বোলারের যে ‘অস্ত্র’ থাকা দরকার তার সবই রয়েছে।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র ১০ ম্যাচ খেলা মুস্তাফিজের দখলে রয়েছে ২৮ উইকেট। মুস্তাফিজ বলেন, এখনই অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে চাইনা। চাপের সময় নিজেকে ঠাণ্ডা রেখে বৈচিত্র্যগুলো ছাড়তে চাই।

ফিটনেস এবং স্কিলের উন্নয়নে সার্বক্ষণিক কোচের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে ‍যাচ্ছি।

বাংলাদেশ দলের সাফল্যের ধারাবাহিকতা দেখে আমি বড় হয়েছি। আমি যে দলটিতে আছি তা বিশ্বের যেকোনো দলকে হারাতে সক্ষম।

টাইগার বোলিং কোচ জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক বলেন, সে এখনও অনেক তর‍ুণ। তাকে সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে।

প্রথম দুই ম্যাচে সে ১১ উইকেট নিয়েছে। প্রতি ম্যাচেই সে পাঁচ উইকেট নেবে তার কাছে আমাদের সবসময় এমন প্রত্যাশা নয়। যদি আমরা তাকে ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারি এবং সহযোগিতা করতে পারি তাহলে একসময় সে বড় ম্যাচ উইনার হয়ে উঠবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
জেডএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।