চট্টগ্রাম থেকে: তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অবশেষে বৃষ্টি হানা দিয়েই ছাড়লো। ইনিংসের ২৩ ওভার শেষে বৃষ্টি নামে।
দলীয় ৫০ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান ডেভিড মিলার এবং জেপি ডুমিনি। মিলার ২৩ রান নিয়ে অপরাজিত। ডুমিনি রয়েছেন ৮ রান নিয়ে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২৩ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান।
এর আগে ম্যাচের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। আউট হওয়ার আগে ওপেনার ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান। এরপর সাকিব আল হাসানের অসাধারণ ঘূর্ণিতে ফেরেন ফাফ ডু প্লেসিস। দলীয় অষ্টম ওভারের প্রথম বলেই সাকিবের বলে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে ধরা পড়েন প্লেসিস। সাকিবের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯৯তম উইকেট হিসেবে আউট হওয়ার আগে প্লেসিসের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে মাত্র ৬ রান।
এগারোতম ওভারে রুবেলের করা ‘নো-বল’ থেকে ফ্রি-হিটে ধরা পড়েন আমলা। বারোতম ওভারে সাকিবের বলে তুলে মারতে গিয়ে আবারো ধরা দেন আমলা। তবে, সাব্বিরের হাত ফসকে বল বেড়িয়ে যায়। দুইবার বেঁচে গেলেও সাকিবের বলেই অবশেষে বিদায় নেন হাশিম আমলা। এ উইকেটের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম উইকেটের মালিক হন সাকিব। আমলাকে সাজঘরে পাঠাতে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। আমলার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে দলীয় ৫০ রানের মাথায় প্রোটিয়াদের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। মাহমুদুল্লার বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ১৭ রান করা রিলে রুশো।
সিরিজে ১-১ এ সমতা থাকায় ‘অঘোষিত ফাইনাল’ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে শেষ ওয়ানডে ম্যাচটিকে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী অধিনায়ক হাশিম আমলা। প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে ব্যাট হাতে নামেন হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি কক। টাইগারদের হয়ে বোলিং সূচনা করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
দ্বিতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডটি রেখে দিয়েছে টাইগাররা। অপরদিকে প্রোটিয়াদের একাদশে একটি পরিবর্তন হয়েছে। ক্রিস মরিসের স্থলে দলে ঢুকেছেন মরনে মরকেল।
এ মাঠে সর্বশেষ ১০ ওয়ানডের আটটিতেই জিতেছে টাইগাররা। এ কারণে ‘লাকি ভেন্যু’তে টাইগাররা খেলতে নামবে ফেভারিট হয়ে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ঘরের মাঠে টানা চার সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়ার হাতছানি মাশরাফি বাহিনীর সামনে।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।
দ. আফ্রিকা একাদশ: হাশিম আমলা (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস, রিলে রুশো, জেপি ডুমিনি, ডেভিড মিলার, ফারহান বেহারদিয়েন, কাগিসো রাবাদা, ইমরান তাহির, কাইল অ্যাবোট ও মরনে মরকেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই ২০১৫
এমআর
** দলকে টানছেন মিলার-ডুমিনি
** আমলাকে ফেরালেন সাকিব
** দু’বার বেঁচে গেলেন আমলা
** সাকিবের ঘূর্ণিতে ফিরলেন প্লেসিস
** শুরুতেই ডি কককে ফেরালেন মুস্তাফিজ
** সিরিজ জিততে ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে প্রোটিয়ারা