চট্টগ্রাম থেকে: পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়ে ছিলেন সাতক্ষীরার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান। সেই ম্যাচে চার ওভার বল করে ২০ রান খরচায় নিয়েছিলেন বুমবুম খ্যাত শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট।
ভারতের বিপক্ষেও অভিষেক ওয়ানডেতে বাঁ-হাতি পেসার দেখিয়েছেন তার প্রতিভার ঝলক। ইন সুয়িং এবং অফ কাটার দিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক ধোনি, কোহলি, রায়নার মত বাঘা বাঘা খেলোয়াড়কে নাজেহাল করে তুলে নিয়েছিলেন উইকেটে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভূগিয়েছেন যথেষ্ট।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে আবার জ্বলে উঠলেন সেই কাটার কিং মুস্তাফিজ। বিশ্ব ক্রিকেটকে জানান দিলেন শুধু টি-২০ বা ওয়ানডে নয়, টেস্টেও আমি চমক দেখাতে পারি। তবে অভিষেক টেস্টে অল্পের জন্য বঞ্চিত হলেন একটি রেকর্ড থেকে।
মঙ্গলবার প্রথম ইনিংসের নিজের ১৪ তম ওভারে যদি হ্যাটট্রিক করতে পারতেন তবে ইংল্যান্ডের পেসার মরিস অ্যালম, নিউজিল্যান্ডের স্পিনার পিটার পেথেরিক ও ড্যামিয়েন ফ্লেমিং এর পাশে যুক্ত হতো বাংলাদেশের মুস্তাফিজের নাম। তারা অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
তবে এ নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই এ পেসারের। প্রথমদিন শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, ‘হ্যাটট্রিক হয়নি, তবে চেষ্টা ছিল। বলটা যেভাবে করতে চেয়েছিলাম, সেভাবেই হয়েছে। কিন্তু দ.আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ভালো খেলেছে। তাই পরপর উইকেট পাইনি। ’
টেস্টে অভিষেক ম্যাচেই প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলাকে দিয়ে টেস্ট উইকেট শিকার শুরু করেন ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ। নিজের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। এরপরের বলেই জেপি ডুমিনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান মুস্তাফিজুর। তার ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলটিতে ছিল হ্যাটট্রিকের সুযোগ। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ওই বলটিতে রেহাই পেলেও পরের বলেই তার অফস্টাম্প উপড়ে দেন মুস্তাফিজ।
স্টাম্প উড়িয়ে দিলে কেমন লাগে এমন প্রশ্নে মুস্তাফিজ বলেন, ‘প্রত্যেক বোলার চায় তাদের বলে যেন স্টাম্প উড়ে যায়। আমিও ব্যতিক্রম না। ডি ককের স্টাম্প উড়িয়ে দিতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। ’
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম ইনিংসে ২৪৮ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর বাংলাদেশ দল করেছে বিনা উইকেটে ৭ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১,২০১৫
বিপি/টিসি/এমএমএস