চট্টগ্রাম থেকে: শুক্রবার রাত থেকেই একটানা বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে এখনও উপস্থিত হয়নি দুই দলের খেলোয়াড়রা।
গ্রাউন্ডেসর কিউরেটর জানিয়েছেন, বৃষ্টি থেমে গেলেও এক ঘণ্টার আগে মাঠ খেলার উপযোগী করে তোলা সম্ভব নয়। বৃষ্টির কারণে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনের খেলা হয়নি।
এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে যায় চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ১৭ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুই প্রোটিয়া ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিল ৩৩ ও ডিন এলগার ২৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। ২১.১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।
প্রথম ইনিংসে দ. আফ্রিকার করা ২৪৮ রানের জবাবে ১১৬.১ ওভার ব্যাট করে ৩২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে করে প্রোটিয়াদের চেয়ে ৭৮ রান এগিয়ে থাকে স্বাগতিকরা। টাইগারদের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান তামিম ইকবাল (৫৭), মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (৬৭) এবং লিটন দাশ (৫০)। ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেওয়া বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ২৫৯ রান। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামেই টেস্টে এক ইনিংসে দলীয় এ স্কোর গড়ে টাইগাররা। সে ম্যাচে সফরকারী দল ইনিংস ও ২০৫ রানের জয় পায়। শুধু ইনিংসে সর্বোচ্চ রানই নয়, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এবারই প্রথম এক ইনিংসে একশ ওভারের বেশি ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালে ৮৭.৫ ওভার ব্যাটিং ২৫২ রান তুলতে পেরেছিল টাইগাররা।
প্রোটিয়াদের হয়ে ডেল স্টেইন ও সিমন হারমার তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। ভারনন ফিল্যান্ডার দুটি, ভ্যান জিল ও এলগার একটি করে উইকেট নেন।
টেস্টের প্রথম দিন ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় দ. আফ্রিকা। মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ শহীদদের বোলিং তোপে প্রোটিয়ারা ৮৩.৪ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে পাঁচ নম্বরে নামা তেমবা বাভুমার ব্যাট থেকে। এছাড়া ওপেনার ডিন এলগার ৪৭, ভ্যান জিল ৩৪ ও ফাফ ডু প্লেসিস ৪৮ রান করেন।
টাইগারদের হয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন কার্টার মাস্টার মুস্তাফিজ। আর তিনটি উইকেট দখল করেন জুবায়ের হোসেন। এছাড়া সাকিব, মাহামুদুল্লাহ ও তাইজুল একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০১৫
এমআর