ঢাকা: বিশ্বকাপ থেকে সফল মিশন শেষে দেশে ফেরা টাইগারদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করে পাকিস্তান। এরপর আসে ভারত।
তবে, ৫টি টেস্টের সর্বশেষ তিনটি টেস্ট বৃষ্টি বাধায় পণ্ড হতে চলেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ড্র করে মুশফিক বাহিনী। দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে পরাজয় মেনে নেয় বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টির হানায় একমাত্র ম্যাচটি পাঁচদিনে গড়ালেও কোনো ফল আসেনি।
দ. আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্টের প্রথম ম্যাচে ফল দেখেনি চট্টগ্রাম। সাদা পোশাকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে পাঁচদিনে গড়ায় ম্যাচটি। তবে, সেখানে বৃষ্টি বাধায় এগিয়ে থেকেও ড্র মেনে নেয় সাকিব-মুশফিক-তামিমরা।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টটিও নিশ্চিতভাবেই ড্রয়ের পথে এগুচ্ছে। এবারো সেই বৃষ্টির রসিকতা। সফরকারীদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটির খেলা হয়েছে শুধু মাত্র প্রথম দিন। যেখানে ৮৮.১ ওভারের পর আর কোনো বল মাঠে গড়ায়নি। টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ব্যাট-বলের লড়াই থেমে গেছে সেখানেই। সোমবার (০৩ আগস্ট) ম্যাচের পঞ্চম দিন বল মাঠে গড়াবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিনের মতো প্রথম দিন কোনো বল মাঠে না গড়ালে আর পঞ্চম ও শেষ দিনের অবস্থাও একই হলে পরিত্যক্ত হতো বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকা টেস্ট। অষ্টম পরিত্যক্ত টেস্ট হিসেবে ধরা হতো টাইগারদের এ ম্যাচটিকে। কারণ এর আগে টেস্ট ইতিহাসে সাতটি ম্যাচ পরিত্যক্ত বলে ঘোষণা হয়েছে।
বৃষ্টিতে টেস্ট ম্যাচ প্রথম পরিত্যক্ত হয় ১৮৯০ সালে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া তিন দিনের টেস্ট ম্যাচটিতে একটি বলও হতে পারেনি। ১৯৩৮ সালে একই ভেন্যুতে এই দুই দলেরই আরেকটি টেস্ট পরিত্যক্ত হয়। চার দিনের টেস্ট ম্যাচটিতে জয় পায় বৃষ্টিই।
১৯৭০ সালে অ্যাশেজের একটি টেস্ট পরিত্যক্ত বলে ঘোষিত হয়। তিনদিনের একটি দিনও ব্যাট-বল নিয়ে বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে পারেননি ক্রিকেটাররা। ফলে, পাঁচদিনের টেস্ট তিন দিনেই পরিত্যক্ত। এর ১৯ বছর পর ১৯৮৯ সালে ডানেডিনে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান এবং পরের বছর গায়ানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড টেস্ট বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
পরিসংখ্যানে ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘটনা ঘটে। ডানোডিনে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচে ভারী বৃষ্টিতে ম্যাচের তৃতীয় দিন পর্যন্ত কোনো বল মাঠে না গড়ালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচটি। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে টেস্ট ম্যাচটিও পরিত্যক্ত হয়। ফয়সালাবাদে ঘন কুয়াশার কারনে ম্যাচের চতুর্থ দিন পর্যন্ত একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকা ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, সাদা পোশাকের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ যেহেতু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে, সেহেতু এ ম্যাচটির পঞ্চম বা শেষ দিনও যদি কোনো বল মাঠে না গড়ায় তবে ড্র মেনে নিতে হবে দুই দলকেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ০২ আগস্ট ২০১৫
এমআর