ঢাকা: অ্যাশেজের চতুর্থ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। মাইকেল ক্লার্ক বাহিনীকে গুটিয়ে দিতে প্রথম দিন প্রথম সেশনে মাত্র ১৮.৩ ওভার বল করতে হয় ইংল্যান্ডকে।
পাঁচ ম্যাচ টেস্টে সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচ জেতা ইংল্যান্ড এ দিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে টপ-অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের তিনজনই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই রজার্সকে ফিরিয়ে উইকেট শিকার শুরু করেন ব্রড। অ্যালিস্টার কুকের তালুবন্দি হয়ে রজার্সকে বিদায়ের মধ্য দিয়ে ব্রড সাদা পোশাকে ৩০০ উইকেটের মালিক হন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের পঞ্চম বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে যোগ দেন।
প্রথম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন স্টিভেন স্মিথ (৬ রান)। ব্রডের বলে জো রুটের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন স্মিথ। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন মার্ক উড। নিজের দ্বিতীয় বলেই তিনি ফিরিয়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নারকে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ জোস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কোনো রানের দেখা না পাওয়া ওয়ার্নার।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ব্রড আবারো আক্রমণে এসে চতুর্থ বলে ইয়ান বেলের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন অজি ব্যাটসম্যান শন মার্শকে। কোনো রান না করেই ফেরেন তিনি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে এক রান করা ভোজেসকে স্টোকসের তালুবন্দি করেন ব্রড।
দলীয় ২১ রানে পাঁচ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া আরও বিপাকে পড়ে দলীয় ২৯ রানের মাথায় দলপতি মাইকেল ক্লাক ফিরে গেলে। সপ্তম ওভারের প্রথম বলে কুকের তালুবন্দি হয়ে বিদায় নেন ১০ রান করা ক্লার্ক। আর দশম ওভারে স্টিভেন ফিনের বলে বোল্ড হন ২ রান করা নেভিল।
দলীয় ৪৬ ও ৪৭ রানে সাজঘরের পথ ধরেন যথাক্রমে মিচেল স্টার্ক ও মিচেল জনসন। দু’জনই জো রুটের হাতে ধরা পড়েন। আর বোলার ছিলেন আগেই ৫ উইকেট পাওয়া ব্রড। ১৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া তাদের নয় উইকেট হারায়। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে নাথান লিয়নকে তুলে নিয়ে ৬০ রানেই অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেন ব্রড।
স্টুয়ার্ট ব্রড ৯.৩ ওভার বল করে ১৫ রান খরচায় নেন ৮টি উইকেট।
এর আগে ১৯০২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি ছিল (৩৬ রান)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ০৬ আগস্ট ২০১৫
এমআর