ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

স্বপ্নের ক্রিকেটে বিরতি, ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন মুস্তাফিজ

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
স্বপ্নের ক্রিকেটে বিরতি, ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন মুস্তাফিজ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গত ২৪ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে শুরু। এরপর টানা তিন মাস।

সিরিজের পর সিরিজ; টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে ও টেস্ট। সব ফরম্যাটের খেলাই চলছিল অবিরাম। এই বিরতিহীন ক্রিকেট আপাতদৃষ্টিতে ‘ধকল’ মনে হলেও তার জন্য স্বপ্নেরই ছিল।

অভিষেকের পর সাফল্যের ডানায় যোগ করেছেন একের পর এক ‘রেকর্ড পালক’। জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেটবিশ্বের সমাদৃত তারকাদের আসনেও। স্বপ্নের এ পথচলায় ‘বিরতি’ মিলেছে এবার। অন্য সতীর্থদের মতো দু’সপ্তাহের ছুটি পেয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘কার্টার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমানও।

ছুটি কাটাতে শনিবার (৮ আগস্ট) সাতক্ষীরার তেতুলিয়ায় গ্রামের বাড়িতে যাবেন মুস্তাফিজ। পুরো ছুটিটাই তিনি কাটাবেন পরিবারের সঙ্গে।

এবারের বাড়ি ফেরাটা মুস্তাফিজের জন্য বিশেষ কিছু। তিন মাস আগে মুস্তাফিজ কেবল সাতক্ষীরার ছেলে থাকলেও এবার বাংলাদেশের গর্ব হয়ে তেতুলিয়ায় পা রাখছেন তিনি। মুস্তাফিজ এবার সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ওয়ানডে অভিষেকে পাওয়া বাংলাদেশ দলের লাল-সবুজ জার্সিটি। এতোদিন ধরে ড্রেসিংরুমে থাকা কাঠ ও কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো জার্সিটি মুস্তাফিজের পক্ষ থেকে স্বজনদের জন্য বিশেষ স্মারক উপহার হিসেবেই যাচ্ছে।

বাড়ি ফেরার আগে মুস্তাফিজের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) আলাপ করে বাংলানিউজ। ছোট্ট ক্যারিয়ার আর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্নের গল্প বলেন বাঁহাতি এ তরুণ তুর্কি।

মুস্তাফিজের ক্যারিয়ার শুরু ক্রিকেটের শর্ট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে বিষাক্ত সুইং-কার্টারে নাজেহাল করেছিলেন শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজদের। ওই ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ছিল- চার ওভার, ১৬ ডটবল, ২০ রান, দুই উইকেট।

বিস্ময়ের গল্পটা সেই ম্যাচ থেকেই শুরু। তার আগমনে যেন ক্রিকেটে নতুন এক বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটে। মুস্তাফিজ দলে আসায় টাইগার দলের বোলিং বিভাগে দারুণ পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য আসে। সে পরিবর্তন আর বৈচিত্র্যের কল্যাণে বিশ্বকাপের পর টানা তিনটি সিরিজে (পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা) বাংলাদেশ দলও পায় সেরা সাফল্য। দলীয় সাফল্যের পেছনে এই কার্টার মাস্টার অগ্রনায়ক ছিলেন নিঃসন্দেহে।

কিন্তু মুস্তাফিজ নিজেকে পুরো ক্রেডিট দিতে চান না। অন্যের কাছে বেশি প্রশংসা শুনতেও ভালো লাগে না তার। ‘আমি মনে করি না আমার অবদানের কারণে বাংলাদেশ ভালো করছে। সৌম্য সরকার, মাশরাফি ভাইদের অনেক অবদান এর পেছনে। পুরো দলেরই ভূমিকা রয়েছে এখানে’।

নিজের স্তূতি নিজে না গাইলেও সতীর্থরা মুস্তাফিজকে প্রশংসায় ভাসিয়েই যাচ্ছেন। তার প্রশংসার বুলি শোনা যায় মহেন্দ্র সিং ধোনি, ডেল স্টেইন ও শহীদ আফ্রিদিদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের মুখেও।

টাইগার ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যাশা করবেন, মুস্তাফিজের এই বিস্ময়ের গল্প বড় হতে থাকুক।

আর মুস্তাফিজ কী চাইবেন? ‘ছুটি  শেষে বাড়ি ফেরার পর অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। ঢাকায় ফেরার পর আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে কঠোর অনুশীলন করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
এসকে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।