পুচং কিনারা স্টেডিয়াম থেকে ফিরে: ভয়াবহ ভূমিকম্পে গত ২৫ এপ্রিল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে নেপাল। ভয়াল সেই স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে সেখানকার মানুষ।
নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে সেই প্রীতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিশ্ব একাদশের হয়ে রোববার মালয়েশিয়া সময় সকাল ৯টা পুচং কিনারা মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশের আবদুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী। আরও ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলও।
আর বিশ্ব একাদশকে নেতৃত্ব দেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী ক্রিকেটার সনাথ জয়াসুরিয়া।
প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিশ্ব একাদশ ১৯.৪ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে।
১৩৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে নেপাল জাতীয় দল নির্ধারিত ওভারের চার বল বাকী থাকতে ৯৮ রানে সবক’টি উইকেট হারায়।
বিশ্ব একাদশের বোলাদের দাপুটে বোলিংয়ে নেপালের কোনো ব্যাটসম্যান ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
বিশ্ব একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান সুরেস নাভারান্থাম। তবে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি চার ওভার বোলিং করে এক মেডেনসহ ১১ রানে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন।
অন্যদিকে দুটি উইকেট পান জয়সুরিয়া। আর আরেক টাইগার বোলার সোহাগ গাজী এক ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পান।
৪৮ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টোইনিস। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও ওঠে এ তরুণের হাতে।
রাজ্জাক দুটি ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ছয় নম্বরে নেমে বুলবুল ২ রান করেন। আর গাজী ৩ রান করেন। ব্যাটিং উদ্বোধনে এসে জয়সুরিয়ার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
বিশ্ব একাদশে থাকা অন্য খেলোয়াড়রা হচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ, ভারতের ভেনুগোপাল রাও ও সিঙ্গাপুরের ব্যাটসম্যান চেতন সুরিয়াবাংসি। তা ছাড়া বর্তমানে ভারত সফরে থাকা অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ক্রিকেটার স্টিভ কিফি এবং মার্কাস স্টইনিসও বিশ্ব একাদশের হয়ে খেলেছেন।
বিশ্ব একাদশ: জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা), আমিনুল ইসলাম (বাংলাদেশ), সোহাগ গাজী (বাংলাদেশ), আব্দুর রাজ্জাক (বাংলাদেশ), রশিদ লতিফ (পাকিস্তান), ভেনুগোপাল রাও (ভারত), স্টিভ কিফি (অস্ট্রেলিয়া) ও মার্কাস স্টইনিস (অস্ট্রেলিয়া), চেতন সুরিয়াবাংসি (সিঙ্গাপুর), সুরেশ নাভারাতনাম (মালয়েশিয়া) ও আহমেদ ফাইজ (মালয়েশিয়া)।
নেপাল জাতীয় দল: পরাস খাদকা (অধিনায়ক), নরেশ বাহাদুর বুদায়ার, সরাদ ভেসোকার, অনিল কুমার মন্ডল, রাজু রীজাল, সিদান্ত লোহানী, ভুবন কার্কি, বসন্ত রেগমী, শক্তি প্রসাদ গুচন, কারণ কেসি, সম্পাল কামী, রাজেশ পুলামি মাগার, অভিনাশ কারন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৫
এসএইচ