ঢাকা: স্বপ্নের মতো টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আবুল হাসান রাজুর। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
আবুল হাসানের চোটগুলো মারাত্মকই ছিল। ডাক্তারের ছুড়ির নিচে যেতে হয়েছে চারবার। দুইটা অ্যাঙ্কেল ও দুইটা কোমড়ে। তবে এখন পুরোপুরি ফিট এ ডানহাতি পেস বোলার। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) অধীনে করছেন মিরপুরে অনুশীলন। জাতীয় দলে ফেরাই তার লক্ষ্য। তবে সেটাকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মানছেন ২৩ বছর বয়সী এই পেসার। শনিবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবুল হাসান রাজু। কথোপথনের বিশেষ অংশগুলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: এখন ইনজুরির কি অবস্থা?
আবুল হাসান: প্রথমে আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ আমি এতো বড় একটা ইনজুরি থেকে ফিরে আসতে পেরেছি। আপনারা জানেন যে, চারটা অপারেশন আছে শরীরের মধ্যে। দুইটা অ্যাঙ্কেল ও দুইটা কোমড়ে। এখন অনুশীলন করে যাচ্ছি। সামনে যে খেলাগুলো আছে ভালো কিছু করার সুযোগ থাকবে। ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর আছে। ওখানে যদি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাই, ভালো হবে। একটা জিনিস কি, ইনজুরি নিয়ে তো কিছু বলা যায় না। একটার পর একটা আসতেই থাকে। তো আমি, আমার কাজ করে যাচ্ছি। বাদ বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা।
প্রশ্ন: গত কিছুদিনে দলের পরিস্থিতি বেশ পাল্টে গেছে। প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে । বিশেষ করে পেস আক্রমণে। আপনার কাছে কি দলে ঢোকা কঠিন মনে হয়?
আবুল হাসান: অবশ্যই আমি কঠিন মনে করি। আমাদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা থাকাই দেশের জন্য ভালো, দলের জন্য ভালো এবং আমাদের নিজেদের জন্যও ভালো।
প্রশ্ন: আপনি কি এখন পেস-অলরাউন্ডার হিসেবে দলে জায়গা করে নিতে চাচ্ছেন?
আবুল হাসান: আমার মনে হয় অলরাউন্ডারের জায়গাটায় একটু দুর্বল অবস্থায় আছি আমরা। এটা নিয়েই বেশি কাজ করছি। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডিং সবকিছু নিয়েই কাজ করছি।
প্রশ্ন: পেস আক্রমণে যে লড়াইটা চলছে। আপনি কি নিজেকে ফিট মনে করছেন?
আবুল হাসান: আমি শতভাগ ফিট আছি। পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস আছে আমার। মুস্তাফিজ ভালো করছে, ম্যাশ ভালো করছে। এছাড়া রুবেল, তাসকিনও আছে। আমি, শফিউল ও আল আমিন আছে দলের বাইরে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। ওখান থেকে যদি ওভারকাম করা যায় আমি মনে করি আমরা খুব ভালো করব।
প্রশ্ন: সেটার জন্য বাড়তি কি কাজ করছেন?
আবুল হাসান: বাড়তি কাজ বলতে ধরেণ, বোলিংয়ের কাজটা একটু বাড়িয়ে দিয়েছি। ফিটনেসের কাজটাও বাড়িয়েছি। এছাড়া ব্যাটিং তো প্রতিদিনই করছি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে ফেরার জন্য জেদ কতটুকু কাজ করে, মানসিক শক্তি কিভাবে পান?
আবুল হাসান: প্রতি সপ্তাহে এখানে মনোবিজ্ঞানের একটা ক্লাস থাকে। আমরা কোচের সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করি। কোচ কখনো কখনো মাশরাফির সঙ্গে তুলনা করেন। ইতিমধ্যে ওর (মাশরাফির) সাতটা অপারেশন হয়েছে পাঁয়ের মধ্যে। এটা ভাবলে মনে হয় ইনজুরিটা আসলে কিছু নয়। এটা পেস বোলার বা যে কোনো ক্রিকেটারের বেলায় আসতেই পারে। তাই এসব নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা নেই। শুধু নিজের কাজটা নিজে করে যেতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
এসকে/এমএমএস