ঢাকা: বাংলাদেশ দলের খেলা হবে আর ১৬ কোটি বাঙালির চোখ মাঠের দিকে থাকবে না তা কি হতে পারে!
যে কারণে এবার খেলোয়াড়দের জার্সিতে ‘কর সংক্রান্ত তথ্যসম্বলিত স্লোগান’ অন্তভুর্ক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সম্প্রতি এনবিআর সভায় দেশসেবার এই মহতী উদ্যোগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলতি বছর থেকেই তাদের এনবিআর’র ‘ট্যাক্স অ্যাম্বাসেডর’ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, দাবাসহ সব জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জার্সিতে কর সংক্রান্ত তথ্যসম্বলিত স্লোগান অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বোর্ড সভায় প্রথম সচিব (মূসক বাস্তবায়ন) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর এ প্রস্তাব দেওয়ার পর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক রেজাউল হাসানকে দায়িত্ব দেন।
খেলোয়াড়রা এ প্রচারণায় অংশ নিলে সাধারণ মানুষের ভেতর সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা।
এনবিআর সূত্র জানায়, দেশের মাত্র ১ শতাংশ মানুষ কর নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের অর্ধেক মানুষকে কর আওতায় আনার উদ্যোগও নিয়েছে সংস্থাটি।
এ জন্য চলতি অর্থবছর থেকে সারাদেশে জরিপ কার্যক্রম বাড়ানো, নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র খুঁজে বের করাসহ বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজস্ব সংলাপ, ডকুমেন্টারি ও খেলোয়াড়-সেলিব্রেটির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা।
নাম গোপন রাখার শর্তে এনবিআর’র এক সদস্য বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা যে পণ্যের প্রচারণায় অংশ নেয় তাতে সাড়া বেশি থাকে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো জার্সিতে কোম্পানি বা পণ্যের লোগো ব্যবহার করলে, ওই পণ্যের কাটতি বেড়ে যায়। এছাড়াও খেলোয়াড়রা সরাসরি বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনেক সামাজিক সচেতনতামূলক কাজে অংশ নেয়, তাতেও বেশ প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিদেশিদের মতো কর সচেতন নয়। প্রচার ঘাটতি থাকায় সাধারণ মানুষ কর দিতে উদ্ধুদ্ধও হয় না। কর কিভাবে জনকল্যাণে যুক্ত হয়, সে প্রচারণায় খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্ত করা হলে করদাতার সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কর সচেতনতায় এনবিআর’র বিভিন্ন দিবসে খেলোয়াড় এবং সেলিব্রেটিরা অংশ নেয়। অতীতেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তবে বাস্তবায়িত হয়নি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এনবিআর আলোচনা শুরু করেছে। আশা করি, শিগগিরি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।
বোর্ডের সাবেক সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম বলেন, খেলোয়াড়রা এ সচেতনতায় যুক্ত হলে মানুষ উদ্ধুদ্ধ হবে, পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াতে এনবিআর’র উদ্যোগও সফল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
আরইউ/এটি