ঢাকা: ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচেও হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সফরকারী মুমিনুল হকের নেতৃত্বে থাকা দলটি ইনিংস ও ৩২ রানে হেরেছে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পরও ২২৮ রান সংগ্রহ করলে দ্বিতীয় ইনিংসে আরেকবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল অলআউট হয়েছে মাত্র ১৫১ রানে। প্রথম ইনিংসে ভারতের দলটি ৫ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৪১১ রান। এরপর ইনিংস ঘোষণা করে শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে দেওয়া দলটি।
প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
তবে, ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এনামুল হক বিজয়, গত ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমান আর শুভাগত হোম কোনো রানই করতে পারেননি। এক রান করে আউট হন নাসির হোসেন। ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। তিন নম্বরে নামা দলপতি মুমিনুল খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৪ রান। ৯৫ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাশ ৪২ বলে ৬টি চারে করেন ৩৮ রান।
এছাড়া শেষ দিকে সাকলাইন সজীব ২১, শফিউল ইসলাম অপরাজিত ১৩ রান করেন। ইনজুরির কারণে ব্যাট হাতে নামতে পারেননি রুবেল হোসেন। এক রান করে বিদায় নেন জুবায়ের হোসেন।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৩৯.৩ ওভারে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায়।
ভারতের হয়ে ইশ্বর পান্ডে ও জয়ন্ত যাদব তিনটি করে উইকেট নেন। আভিমানু মিথুন দুটি উইকেট দখল করেন। রবীন্দ্র জাদেজার ভাগে যায় একটি উইকেট। আর বরুন অ্যারন থাকেন উইকেটশূন্য।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫২.৪ ওভারে তুলেছিল ২২৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২২ রান করেন সাব্বির। তার অপরাজিত শতকের ইনিংসটি সাজানো ছির ১৩১ বলে, ২৩টি চার আর একটি ছক্কায়। নাসির হোসেনের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩২ রান। আর শুভাগত হোম খেলেছিলেন ৬২ রানের ইনিংস।
এছাড়া মুমিনুল ২ ও সাকলাইন সজীব ৪ রান করেন। বাকিরা কোনো রান তোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছিলেন।
প্রথম ইনিংসে ভারতের হয়ে শতক হাঁকান দলপতি শিখর ধাওয়ান। ১৪৬ বলে ১৮টি চার আর তিনটি ছক্কায় তিনি করেন ১৫০ রান। ওপেনার মুকুন্দ খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস আর তিন নম্বরে নামা শ্রেয়াসের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।
দলের স্কোর ৪১১ করতে ব্যাট হাতে করুন নায়ার ৭১, বিজয় শংকর ৮৬ আর অপরাজিত থাকা নোমান ওঝা করেন ২৫ রান।
এর আগে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-১ এ হারে সফরকারীরা। এরপর ভারতের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটকের বিপক্ষে তিনদিনের ম্যাচেও হেরেছিল মুমিনুল-নাসির-সাব্বির-সৌম্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
এমআর