ঢাকা: সব ম্যাচ জেতার লক্ষ্য নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে একটি জয় ছাড়া সাফল্য নেই দলটির।
দলের বেশির ভাগ সদস্যই সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে আসছে। অথচ ভারত সফরে অধিকাংশই ছিলেন নিষ্প্রভ। এমন অপ্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে ভক্তদের সঙ্গে হতাশ ক্রিকেটাররাও। ভারত সফর নিয়ে জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার কথা বলতে রাজী না হলেও কথা বলেছেন তাসকিন আহমেদের বদলি হিসেবে ভারত সফরে যাওয়া পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
প্রথম তিনদিনের ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন কামরুল। টিম ম্যানেজমেন্ট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্কোয়াডের সবাইকে সুযোগ দেওয়াতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি। প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতার কথাই শেয়ার করেন বাংলানিউজের কাছে। নিজেদের ব্যর্থতার চেয়ে প্রতিপক্ষের শক্তিশালী দিকগুলোর কথাই জানালেন তিনি।
ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরার পথে মুঠোফোনে রাব্বি জানান, ‘ওরা খুব ধৈর্যশীল খেলোয়াড়। ওদের ব্যাটিং খুব ভালো। কোনো বাজে শট খেলে না। খুব টাফ ক্রিকেট খেলে এমন না। ওদের ব্যাটসম্যানরা বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করে। ওরা যখন অনেক ডিফেন্সিভ খেলে আমরা তখন ফিল্ডার কাছে এনে অ্যাটাক করলে ওপর দিয়ে খেলে। ফিল্ডার দূরে নিলে আবার সিঙ্গেলস খেলে। ওদের খেলাই অন্যরকম, প্ল্যান অন্যরকম। ’
ব্যাটসম্যানরা রান না পাওয়ার কারণ হিসেবে কামরুল দেখছেন ওখানকার বাউন্সি উইকেট, ‘ওরকম উইকেটে আমরা কখনো খেলিনি। উইকেটে ঘাস ছিল এবং খুব বাউন্স ছিল। আমাদের ওপেনারদের ১০-১৫ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে। প্রত্যেকটা ম্যাচে ওরা টস জিতে আমাদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে। ফলে অমন উইকেটে আমাদের জন্য ব্যাটিং করা কঠিন হয়ে গেছে। ’
হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পেছনে টিম স্পিরিটের অভাব ছিল কি না-এমন প্রশ্নে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টিম স্পিরিট ভালো ছিল, টিম কম্বিনেশনও ভালো ছিল। জেতার জন্য সবাই মুখিয়ে ছিল। প্রথম ওয়ানডেতে হারার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কিন্তু আমরা কামব্যাক করেছিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এসকে/আরএম