ঢাকা: এখন ক্রিকেট মানেই যেন চার-ছয়ের ফুলঝুরি। বিশেষত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেকাংশেই হয়ে পড়েছে বিনোদনের প্রধান মাধ্যম।
পরের বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। প্রথমবারের মতো ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি ফরমেটের হতে পারে বলেও জানা যায়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ঠিক এমন পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন ফ্লেমিং জানিয়েছেন, প্রতি চার বছর পরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিৎ। কোনো কারণে যেন এর খ্যাতি কমে না যায় সেজন্য টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরকে চার বছর পরপর আয়োজন করা প্রয়োজন।
কিউই জার্সি গায়ে মাত্র ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ফ্লেমিং আরও জানান, ‘এটা ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। তাই এটাকে ভালো মতো ব্যবহার করতে হবে। পরিস্থিতি যদি এরকম ভাবে চলতে থাকে, তবে দ্রুতই অন্যান্য ফরমেটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টির সামঞ্জস্য থেকে যাবে। তাতে খোদ ক্রিকেট খেলারই ক্ষতি হবে। এভাবে চলতে থাকলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট একসময় মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
টি-টোয়েন্টিতে দর্শকের চাহিদা মাথায় রেখে হয়তো এর পৃষ্ঠপোষকদের কাছে খুব উত্তেজনাকর মনে হতে পারে। কিন্তু প্রতিযোগিতা আর বিনোদনের মধ্যে সঠিক সামঞ্জস্য বজায় রাখার ব্যাপারটাও ক্রিকেট প্রশাসকদের বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন ফ্লেমিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ০৩ নভেম্বর ২০১৫
এমআর