ঢাকা: জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ড্র করেছে খুলনা বিভাগ। ষষ্ঠ রাউন্ডের আরেক ম্যাচে প্রথম দিনের মতো মাঠে নেমেছিল ঢাকা মেট্রো এবং ঢাকা বিভাগ।
চট্টগ্রামে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষেও ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি খুলনা বিভাগ। শেষ দিনে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও ৭ উইকেট হারিয়ে দলটি ২৮৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে রংপুর সবক’টি উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৩৪৪ রান।
আগের দিনের ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান নিয়ে শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। ১১৩.৫ ওভার ব্যাট করে দলটি।
চট্টগ্রামে রংপুরের হয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ আরাফাত ব্যক্তিগত ৪ রান করে ফিরলেও আরেক ওপেনার কল্যানাশীষ বাসু করেন ২৭ রান। তিন নম্বরে নেমে নবীন ইসলাম করেন ২১ রান। আরিফুল হক ২৩, নাহিদুল ইসলাম ২ রান করেন। জাতীয় দলের অনুশীলনে ব্যস্ত থাকায় নাসির হোসেনের পরিবর্তে রংপুরের দলপতি হওয়া ধীমান ঘোষের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান।
৬৬ রান করে বিদায় নেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। তবে, ইনিংস সর্বোচ্চ ১০৫ রান করেন তানভীর হায়দার।
খুলনার হয়ে ৪৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট তুলে নেন অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। ৪টি উইকেট দখল করেন মুরাদ খান।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। এরপরই ড্র মেনে নেয় দুই দল। খুলনার হয়ে শতক হাঁকান ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ১০৭ রান। ১০৪ বল মোকাবেলা করে ১৩টি চারের সাহায্যে ইমরুল তার ইনিংসটি সাজান।
এছাড়া খুলনার হয়ে মেহেদী হাসান ২১, তুষার ইমরান ১২, আবু বক্কর ৩২, এনামুল হক ২৭ রান করেন। ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে রংপুরের সেঞ্চুরিয়ান তানভীর হায়দারের হাতে।
এদিকে, কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিনও কোনো বল মাঠে গড়ায়নি। ঢাকা মেট্রোপলিস আর ঢাকা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি চতুর্থ দিন গিয়ে শুরু হয়।
বৃষ্টির কারণে প্রথম তিন দিন ভেস্তে যাওয়া ম্যাচের শেষ দিন আগে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা মেট্রো। ৭৫ ওভার ব্যাট করে মেট্রো ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। এরপরই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
মেট্রোর হয়ে শতক হাঁকান শামসুর রহমান। ওপেনার এ ব্যাটসম্যান ১৮২ বলে ৮টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৫ রান করে বিদায় নেন। মাত্র একটি রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন মেহেদী মারুফ। ব্যক্তিগত ৯৯ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন মেহেদী। মার্শাল আইয়ুব ১৯ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ০৩ নভেম্বর ২০১৫
এমআর