ঢাকা: ক্যালেন্ডারে বছর না ফুরালেও ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ফুরিয়েছে বাংলাদেশের এ বছরটি। চলতি বছরে আর কোনো ম্যাচ নেই বাংলাদেশ দলের।
এ বছরটির সাফল্যগাঁথা যেন রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। ১৯ ওয়ানডের ১৩টিতেই জয় তুলে নিয়েছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে (ফেব্রয়ারি) বিশ্বকাপ মিশনে নামে মাশরাফি বাহিনী। আম্পায়ারের বিতর্কিত দুটি সিদ্ধান্ত না এলে বিশ্ব আসরে স্বপ্নের সেমিফাইনাল খেলতে পারতো বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরে যেন আরও টগবগে হয়ে ওঠে ক্রিকেটাররা।
এপ্রিলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে টাইগাররা। জুনে ভারতকেও সিরিজ হারায় বাংলাদেশ (২-১)। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রুখে দেয় ক্রিকেট বিশ্বের নতুন শক্তির দেশটি।
সেই সঙ্গে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরাসরি খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে মাশরাফির দল। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে নয় থেকে উঠে আসে সাত-এ।
এ বছরটিতে ১৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। যার মধ্যে জয় ১৩টিতে, পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছে সাতটি ম্যাচ। ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে জয় পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।
এ বছর বাংলাদেশ দলে ওয়ানডে ক্যাপ পরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন কুমার দাস। অভিজ্ঞদের সঙ্গে ব্যাট-বলের দুই তরুণের অর্ন্তভুক্তিতে ব্যালান্সড দল হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে সুনাম কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীতেও এই জয়স্রোত অব্যহত থাকবে- এটাই প্রত্যাশা সব ক্রিকেটপ্রেমীর।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এসকে/এসএইচ