ঢাকা: নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৩১ রানের স্বল্প পুঁজিতে আটকে দেন বাংলাদেশি বোলাররা। তবে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতেছে বংলাদেশ।
টসে হেরে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ের পক্ষে ম্যালকম ওয়ালার সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে কোনো টাইগার ব্যাটসম্যান তার অর্ধেক রানও সংগ্রহ করতে পারেননি। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩১ রান।
টাইগারদের চার ব্যাটসম্যান ক্রিজে থিতু হয়েও ফিরে গেছেন ইনিংসাটাকে দীর্ঘায়ু না করে। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ১২ বলে ১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এনামুল হক বিজয়।
এরপর ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা সাব্বির রহমান ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন টেন্ডাই চিসোরোর বলে আউট হয়ে। সাব্বিরের বিদায়ে ব্যাট করতে আসা মুশফিককে ক্রিজে স্থায়ী হতে না দিয়ে সিকান্দার রাজার ক্যাচে পরিণত করেন গ্রায়েম ক্রেমার।
ইনিংসের মাত্র ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া বাংলাদেশকে আরো বড় বিপর্যয়ে ফেলে দেন গ্রায়েম ক্রেমার ম্যাচের ১১তম ওভারে। একই ওভারে নাসির হোসেন ও ৩০ রান করা তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দেন তিনি। দুজনকেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই জিম্বাবুইয়ান স্পিনার।
৮০ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের বিপর্যয় কাটাতে ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাশ জুটি। সতর্কভাবে খেলে এই জুটি থেকে যায় ৩৮ রান যোগ করেই। টেন্ডাই চিসোরোর বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্রেমারের হাতে ধরা পড়েন লিটন দাশ। আউট হওয়ার আগে তিনি সংগ্রহ করেন ১৭ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৩২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি। ম্যাচের ১৮তম ওভারের লুক জঙ্গুয়ের চতুর্থ বলে বিশাল একটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মাশরাফি।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে গ্রায়েম ক্রেমার ৩টি ও টেন্ডাই চিসোরো নেন ২টি উইকেট।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজকে সাজঘরে ফেরান মাশরাফি। পরের ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন পেসার আল আমিন হোসেন। জিম্বাবুয়ের আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চাকাভাকে মুশফিকের তালুবন্দি করেন তিনি।
এরপর তৃতীয় ওভারে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার স্ট্যাপ উপড়ে ফেলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েকে আরও বিপাকে ফেলে দেন নাসির হোসেন। ম্যাচের ৯ম ওভারে বল করতে এসে শন উইলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি।
মাত্র ৩৮ রানে চার উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ম্যালকম ওয়ালার। ২০ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়ের পক্ষে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড করেন তিনি।
মুস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৬টি ছয়ের মারে ৩১ বলে ৬৮ রানের ঝড় তোলেন ওয়ালার।
ক্রেইগ এরভিন ২০ রান ও শন উইলিয়ামসের ১৫ রান ছাড়া জিম্বাবুয়ের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের কোটায় পৌঁছাতে পারেননি।
মাশরাফি, আল আমিন, মুস্তাফিজ ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেন নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
এমজেএফ/
** ১-০তে লিড নিল টাইগাররা
** মুশফিকের দ্রুত বিদায়
** তিন ওভার শেষে বাংলাদেশ ২২/১
** জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
** ১৩২ রানের টার্গেট টাইগারদের
** জিম্বাবুয়ের নবম উইকেটের পতন
** রিয়াদ ফেরালেন আরভিনকে
** ওয়ালারের ব্যাটে এগুচ্ছে জিম্বাবুয়ে
** জিম্বাবুয়ের চতুর্থ ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** ম্যাশের গোলায় বিপাকে জিম্বাবুয়ে
** প্রথম নয় বলে দুই ওপেনারের বিদায়
**প্রথম ওভারেই ম্যাশের আঘাত
** টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ