ঢাকা: গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। সেবার তিন ম্যাচের টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ‘পুরোপুরি ধবলধোলাই’ হয়ে ‘একেবারে রিক্ত হস্তে’ দেশে ফিরতে হয়েছিল তাদের।
তবে, এবারও ওয়ানডে সিরিজে লালসবুজের পতাকাধারীদের হাতে ‘ধবলধোলাই’ হতে হয়েছে আফ্রিকান দলটিকে। এখন এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেও ‘ধবলধোলাই’ হওয়ার শঙ্কায় পুড়ছে সফরকারীরা।
রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি। এ ম্যাচ টাইগারদের জন্য হবে অতিথিদের পুরোপুরি ‘ধবলধোলাই’ করে ‘রিক্ত হস্তে’ ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই, আর জিম্বাবুয়ের জন্য হবে দেশে ফিরতে ‘সান্ত্বনা পাওয়ার’ লড়াই।
তবে, সান্ত্বনার জয় পাওয়াটাও যে সহজ হবে না, তা ভালো করেই জানেন সফরকারীদের প্রথম টি-টোয়েন্টির নায়ক ম্যালকম ওয়ালার। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) প্রথম ম্যাচের পরই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জিততে হলে আমাদের লড়াই করার পুঁজি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে ভালো বলও করতে হবে। ভালো শুরু করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ’
ওয়ালার সান্ত্বনার জয় পেতে ‘সব ভালো’ করার প্রস্তুতির কথা বললে টাইগাররা তাদের মিশনের কোনো ঘাটতি রাখবে কেন? কোনোই ঘাটতি থাকবে না জানিয়ে দিলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজাও। প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে চান তিনি। শুক্রবারই প্রথম ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করেছি। আমরা এ রকম চাইনি। পরের ম্যাচে সুযোগ আছে। আশা করি সবাই সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবে। ’
সামনে এশিয়া কাপ (টি-টোয়েন্টি) ও আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই দলের সৈনিকদের পরীক্ষাও এ ম্যাচে করিয়ে নিতে চান টাইগার অধিপতি। জানালেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ দিয়েছিলেন জুবায়ের হোসেন লিখন ও এনামুল হক বিজয়কে। প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ না হলেও এ দু’জনকে ফের সুযোগ দেওয়া হতে পারে দ্বিতীয় ম্যাচেও।
অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচে পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির অভিষেক হবে কি-না সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি মাশরাফি।
ক্রিকেটারদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ম্যাচ হোক আর জায়গা পোক্ত করার ম্যাচ হোক, এ লড়াই যে টাইগার টিমের জন্য ‘অতিথিদের ফের রিক্ত হস্তে ফেরানোর’ মিশন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এসকে/এমএমএস/এইচএ