শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম থেকে: বোলার মাশরাফির ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়ে অন্যরকম উদযাপন! ব্যাট হাতে দৌড়ে গেলেন ড্রেসিংরুমের দিকে। সেখানে সর্তীথ এক ক্রিকেটার কাঁধেই তুলে ফেললেন মাশরাফিকে।
৩২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে চিটাগংয়ের বিপক্ষে কুমিল্লাকে জেতানোর নায়ক তো মাশরাফিই। ব্যাট হাতে দলকে জিতিয়েছেন এটা নাকি বিশ্বাস হচ্ছিল না তার। অবিশ্বাস্য কিছু করে দলকে জেতানোর আনন্দেই মাশরাফির উদযাপনের অমন ঢং।
ম্যাচ শেষে অনুভূতি জানাতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, আসলে দৌড় দেখেই তো বুঝেছেন...(হাসি)। খুব ভালো লাগছে। ব্যাটিং করে দলকে জেতালে আমার তেমন অনুভূতি হয় না। কারণ আমার কাজ তো বোলিং করা। আমার লক্ষ্য ছিল না যে শেষ পর্যন্ত খেলবো। যখন হয়ে গেছে তখন আসলে নিজেও বিশ্বাস করতে পারিনি বলে এরকম দৌড় দিয়েছি।
ব্যাট হাতে এই ইনিংসটাকে ক্যারিয়ারের সেরাই বললেন মাশরাফি। তবে জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ খেলে ভালো কিছু করার গুরুত্বই তার কাছে সবচেয়ে বেশি, ‘আমি সবসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পরিমাপ করি। যেহেতু ওটাই বেশি খেলছি, সেটাকেই বেশি প্রাধান্য দেব। এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। তবে মনে হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে একটা ভালো ইনিংস আছে, যেটাতে আমি আর শাহাদাত হোসেন রাজীব মিলে ফলোঅন সেভ করেছিলাম।
ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্য বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ধন্যবাদ দেন মাশরাফি, হাথুরুসিংহেকে ধন্যবাদ। তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমরা এখন (বাংলাদেশ দলে) সাধারণত সাতজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলি। আমি আট নম্বরে নামি। তিনি আমার সাথে এ নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আমার ব্যাটিংটা কিভাবে আরো ভালো হয়, তা নিয়ে কথা হয়েছে। হয়তোবা আমি অনেক ব্যাটিং অনুশীলন করি না, তারপরও তিনি আমাকে অনেক সুযোগ দেন, হেল্প করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর