মিরপুর থেকে: বিপিএলে দুপরের ম্যাচগুলোতে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রানের বন্য বইলেও রাতের ম্যাচগুলোতে লো-স্কোরই হচ্ছে বেশি। গত রাতের মতো বুধবারও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলস।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে মাত্র ৯০ রানের টার্গেট দিয়েছে বরিশাল। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৮.৩ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয় দলটি। এটিই বিপিএলের তৃতীয় আসরে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন কেভিন কুপার। এছাড়া ওপেনার রনি তালুকদার ১৭ ও সাব্বির রহমান করেন ১০ রান। এ তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া টপঅর্ডারের বাকি কোনো ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি কেউই। অতিরিক্ত থেকে আসে ১২ রান।
স্পিনার আসহার জাইদি চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। পেসার নুয়ান কুলাসেকারাও তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার রনি নেন দুটি উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লার দুই পেসার কুলাসেকারা ও আবু হায়দারের পেস আক্রমণে শুরুতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে বুলস ব্যাটসম্যানরা। ৩৬ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কুলাসেকারা ও আবু হায়দারের চার ওভারের স্পেলেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে বরিশাল। এর মধ্যে দুই ওভারের ম্যাজিক স্পেল করেন কুলাসেকারা। এক মেডেনসহ ৪ রান দিয়ে তোলেন শাহরিয়ার নাফিস ও ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট। অন্যদিকে আবু হায়দার ৬ রানে নেন রনি তালুকদার ও মাহমুদউল্লাহর উইকেট।
এরপর আসহার জাইদি তার তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামান । পর পর দুই বলে এই স্পিনারকে উইকেট বিলিয়ে দেন সাব্বির রহমান ও সেকুগে প্রসন্ন। জাইদি তার শেষে ওভারে নেন নাদিফ চৌধুরীর উইকেট।
অষ্টম উইকেট জুটিতে কেভিন কুপার ও তাইজুল ইসলাম যোগ করেন ২০ রান। দলীয় ৭৮ রানে তাইজুল ইসলাম রান আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপর কুপারকে ফেরান কুলাসেকারা। মোহাম্মদ সামিকে বোল্ড করে শেষ উইকেটটি তুলে নেন সুনিল নারিন।
এর আগে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে বরিশাল। আর দুই ম্যাচের একটিতে জিতেছে কুমিল্লা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এসকে