ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লো-স্কোরিং ম্যাচে কুমিল্লার সহজ জয়

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
লো-স্কোরিং ম্যাচে কুমিল্লার সহজ জয় ছবি: শোয়েব মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়ান্স।



বুধবার (২৫ নভেম্বর) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে মাত্র ৯০ রানের টার্গেট দেয় বরিশাল। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৮.৩ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয় দলটি। যা বিপিএলের তৃতীয় আসরে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বনিম্ন স্কোর। জবাবে কুমিল্লা ১৮ ওভার ব্যাট করে দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন কেভিন কুপার। এছাড়া  ওপেনার রনি তালুকদার ১৭ ও সাব্বির রহমান করেন ১০ রান। এ তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া টপঅর্ডারের বাকি কোনো ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। অতিরিক্ত থেকে আসে ১২ রান।

স্পিনার আসহার জাইদি চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। পেসার নুয়ান কুলাসেকারাও তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আবু হায়দার রনি নেন দুটি উইকেট।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লার দুই পেসার কুলাসেকারা ও আবু হায়দারের পেস আক্রমণে শুরুতেই দিশেহারা হয়ে পড়ে বুলস ব্যাটসম্যানরা। ৩৬ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কুলাসেকারা ও আবু হায়দারের চার ওভারের স্পেলেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে বরিশাল। এর মধ্যে দুই ওভারের ম্যাজিক স্পেল করেন কুলাসেকারা। এক মেডেনসহ ৪ রান দিয়ে তোলেন শাহরিয়ার নাফিস ও ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট। অন্যদিকে আবু হায়দার ৬ রানে নেন রনি তালুকদার ও মাহমুদউল্লাহর উইকেট।

এরপর আসহার জাইদি তার তৃতীয় ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামান । পর পর দুই বলে এই স্পিনারকে উইকেট বিলিয়ে দেন সাব্বির রহমান ও সেকুগে প্রসন্ন। জাইদি তার শেষে ওভারে নেন নাদিফ চৌধুরীর উইকেট।

অষ্টম উইকেট জুটিতে কেভিন কুপার ও তাইজুল ইসলাম যোগ করেন ২০ রান। দলীয় ৭৮ রানে তাইজুল ইসলাম রান আউট হলে ভাঙে জুটিটি। এরপর কুপারকে ফেরান কুলাসেকারা। মোহাম্মদ সামিকে বোল্ড করে শেষ উইকেটটি তুলে নেন সুনিল নারিন।

৯০ রানের টার্গেটে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন কুমিল্লার দুই ওপেনার, ইমরুল কায়েস আর মাহমুদুল হাসান। দলীয় ২৩ রানের মাথায় ইমরুলকে ফিরিয়ে দেন আল আমিন হোসেন। গত ম্যাচের নায়ক আল আমিনের প্রথম শিকারে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৪ বলে দুটি চারে ইমরুল করেন ১৩ রান।

এরপর রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন মাহমুদুল এবং তিন নম্বরে নামা মারলন স্যামুয়েলস। দলীয় ৬০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে কুমিল্লার। ৪৩ বল মোকাবেলা করে ব্যক্তিগত ৩১ রান করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি হন মাহমুদুল হাসান। কেভিন কুপারের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি চারটি বাউন্ডারি হাঁকান। স্যামুয়েলসের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটিও গড়েন তিনি।

মাহমুদুলের বিদায়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শুভাগত হোম। স্যামুয়েলসের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শুভাগত (১২)। স্যামুয়েলস ৩৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।