ঢাকা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসর। ৬ দলের অংশগ্রহণে এবারের আসরে ফাইনালসহ ম্যাচ হয়েছে মোট ৩৪টি।
ব্যাটিং: ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ১০ ম্যাচ খেলে ৩৮.৭৭ গড়ে এ টুর্নামেন্টে ৩৪৯ রান করেন এ লঙ্কান ব্যাটসম্যান। যার মধ্যে ছিল দুটি অর্ধশতক। দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার ইমরুল কায়েস। ১২ ম্যাচে দুই অর্ধশতকে ২৮.৩৬ গড়ে ৩১২ রান করেছেন ইমরুল। ৯ ম্যাচ খেলে ২৯৮ রান করে তৃতীয় অবস্থানে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বোলিং: ২২ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন বরিশাল বুলসের পেসার কেভিন কুপার। ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে দুই উইকেট তুলে নিলে আবু হায়দার রনিকে টপকে যান এই ক্যারিবীয়ান। ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনিকে। ১৮ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে থাকেন রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও থিসারা পেরেরা।
ইকোনমি: টুর্নামেন্টে কমপক্ষে ২০ ওভার বোলিং করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে ওভার প্রতি সবচেয়ে কম রান দিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্রিকেটার আসহার জাইদি। ১১ ম্যাচে ৩৭ ওভার বল করে ১৭৭ রান দিয়েছেন এ বাঁহাতি ইংলিশ স্পিনার। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৪.৭৮ গড়ে রান। এর পর আছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্রিকেটার নাসির হোসেন। ১১ ম্যাচে ২৪ ওভারে দিয়েছেন ১২১ রান। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৫.০৪ রান। তৃতীয় অবস্থানে আছেন সিলেট সুপারস্টারসের ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারা। ৯ ম্যাচ খেলে ২৭ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৪৪ রান। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৫.৩৩ হারে রান।
ক্যাচ: টুর্নামেন্টে ১০টি ক্যাচ লুফে নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে বরিশাল বুলসের অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ ও রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার থিসারা পেরেরা। ৭টি ক্যাচ ধরে তৃতীয় অবস্থানে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্সের ক্রিকেটার শুভাগত হোম।
ডিসমিশাল: গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ১৩ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে শীর্ষে কুমার সাঙ্গাকারা। যার মধ্যে ৭টি ক্যাচ ও ৬টি স্ট্যাম্পিং। ১২ ডিসমিশালে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বরিশাল বুলসের উইকেটরক্ষক রনি তালুকদার। ৯টি ক্যাচ ও ৩টি স্ট্যাম্পিং করেছেন অনিয়মিত এই উইকেটরক্ষক। ১১ ব্যাটসম্যানের ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সিলেট সুপারস্টারসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কোনো স্ট্যাম্পিং অবশ্য করতে পারেননি জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক।
বাউন্ডারি: এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। ৩২টি চার ও ১০টি ছক্কায় সর্বমোট ৪২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পেছনে ফেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসের ওপেনার তিলকারত্নে দিলশানের ৪১টি বাউন্ডারির (৩১টি চার ও ১০টি ছক্কা) রেকর্ডকে।
** সাঙ্গাকারার পরেই ইমরুল
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর