ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সেই স্পিনেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
সেই  স্পিনেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র কয়েক দিন আগে টাইগার যুবা স্পিনার শাওন গাজী বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলেছিলেন ‘এবারের বিশ্বকাপে আমাদের বোলিং স্কোয়াডের মূল ভরসা হিসেবে থাকবে স্পিনাররা। ’ হলোও তাই! এই স্পিনারদের দাপটে প্রথম দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের গৌরবের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের যুবারা।

নামিবিয়ার দেয়া ৬৬ রানের সহজ লক্ষ্য তারা টপকে যায় মাত্র ২ উইকেটের বিনিময়ে।

এদিন বাংলাদেশর যুবাদের হয়ে বল করেছেন ৬ জন; যার মধ্যে ৫ জনই সফল। পেসার সাইফুদ্দিন ১টি উইকেট নিয়েছেন, বাদ বাকি সব উইকেটই স্পিনারদের দখলে ছিল।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে যেহেতু টস হেরে ব্যাটিংয়ে তাই এর ফলাফলটি যে সুখের হবেনা সেটাতো আগেই বোঝা যাচ্ছিল। হলো ও তাই! ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৫১ রানে ৫ উইকেট নেই নামিবিয়ার!

স্পিনারদের দাপটে ম্যাচটা জিতলেও টাইগার যুবাদের হয়ে এদিন নামিবিয়া শিবিরে অবশ্য প্রথম আঘাতটি হানেন পেসার সাইফুদ্দিন। চতুর্থ ওভারে তার চার নম্বর বলটি লফটি ইয়াটন খেলতে গেলে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫ রানে ফিরে যান। দলের সংগ্রহ তখন ৬ রান। ইয়াটনের পর জাকির হাসানের তীক্ষ্ণ থ্রোর বলি হয়ে রানের খাতা না খুলেই রান আউটের কবলে পড়ে ব্যক্তিগত ০ রানে নিজের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন অধিনায়ক জেন গ্রিন। নামিবিয়ার দলীয় সংগ্রহ তখন ১০।

১০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া দলটি আরও ব্যাকফুটে চলে যায় যখন উইকেটের সঙ্গে কিছুটা খাপ খাইয়ে খেলতে থাকা ব্যাটসম্যান নিকো ডেভিন ব্যক্তিগত ১৯ রানে শাওন গাজীর স্পিন ঘূর্ণিতে নিজের স্ট্যাম্পে চিঁড় ধরান। ডেভিনের পরের উইকেটটি অবশ্য বাংলাদেশের যুবাদের জন্য একটি আনন্দের উপলক্ষ্য বয়ে আনে। কেননা এই উইকেটটি দিয়েই নিজের ৭৩তম উইকেট থলিতে পুড়ে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের রেকর্ডে ভাগ বসান মিরাজ। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভ্যান লিনজেনের উইকেটটি নিয়ে সেই রেকর্ডে ভাগতো বসালেনই নামিবিয়াকে দিলেন ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা।
 
লিনজেন ৪ রানে ফিরে যাবার পর আবার শাওনের স্পিন পাকে এলবি’র ফাঁদে পড়ে সমান সংগ্রহ নিয়ে জার্জেন লিনড’কে হারায় নামিবিয়া। এরপরের গল্প শুধুই নামিবিয়ানদের আসা যাওয়ার। যেখানে তাদের এই আসা যাওয়ার ভীড়ে হয়ে গেছে যুবাদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডও।

ব্যক্তিগত ৫ রানে চার্ল ব্রিটস, ০ রানে ক্রিস্টান অলিভার ও ২ রানে ফ্রিটস কেয়েটজে প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ৩৩তম ওভারে ঘটে যায় সেই অবিস্মরণীয় ঘটনাটি। সে ওভারে মিরাজের পঞ্চম বলটিতে টেলএন্ডার ভ্যান উইক এলবির ফাঁদে পড়লে ৭৪টি উইকেট নিয়ে যুবাদের যে কোন ধরনের ওয়ানডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির খেতাব জেতেন বাংলাদেশ যুবা দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
 
আর তার এমন রেকর্ডের দিনে ৬৫ রানে অল আউট হয় নামিবিয়া।
 
বাংলাদেশর হয়ে বল হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ, সালেহ আহমেদ শাওন, আরিফুল ইসলাম ২টি আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।  

জবাবে, জয়ের জন্য ৬৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোয়েটজের বলে লরেন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে দলকে কোন রান না দিয়েই ০ রানে ফেরেন ওপেনার পিনাক ঘোষ। এরপর, দলকে ১৩ রান এনে দিয়ে আবার কোয়েটজের শিকার হয়ে উইকেটরক্ষক গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আরেক ওপেনার সাইফ ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরলে কিছুটা বিচলিত হয় বাংলাদেশ।

তবে, বিষয়টি নিয়ে আর বেশি মাথা ঘামাতে হয়নি স্বাগতিকদের। তৃতীয় উইকেটে জয়রাজ শেখ ও নাজমুল হাসান শান্ত’র ৫৩ রানের জুটিতে ওই ২ উইকেটের খরচায় ৬৬ রান নিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলে বাংলাদেশের যুবারা।
 
জয়রাজ খেলেন অপরাজিত ৩৪ ও নাজমুল খেলেন অপরাজিত ১৪ রানের ইনিংস। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন সালেহ আহমেদ শাওন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর

** নামিবিয়াকে উড়িয়েই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
** ১৫ ওভারে বাংলাদেশ ৫৮/২
** সহজ টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
** ৬৫ রানেই গুটিয়ে গেল নামিবিয়া
** টাইগারদের অষ্টম শিকার
** টাইগারদের শিকারে সপ্তম ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** নামিবিয়াকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ
** নামিবিয়ার চতুর্থ ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** ১২ ওভারে স্বাগতিকদের অর্জন দুই উইকেট
** টাইগারদের দ্বিতীয় আঘাত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।