ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সংখ্যায় সংখ্যায় আইপিএল ২০১৬

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
সংখ্যায় সংখ্যায় আইপিএল ২০১৬ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আরেকটি জমজমাট আইপিএল আসর শেষ হলো। নবম আসরে এসে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।

উত্তেজনাপূর্ণ হাই-স্কোরিং ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি আর দারুণ সব বোলিং স্পেলও উপভোগ করেন দর্শকরা।

রোববার (২৯ মে) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিকদের ২০৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেয় মুস্তাফিজ-ওয়ার্নারদের হায়দ্রাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৮ বলে ৬৯, যডুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৮ ও শেষদিকে ১৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন বেন কাটিং। জবাবে, ১০.৩ ওভারে ক্রিস গেইল (৩৮ বলে ৭৬) ও বিরাট কোহলির (৩৫ বলে ৫৪) ১১৪ রানের ওপেনিং জুটির পরও ম্যাচ শেষে আট রানের আক্ষেপে পুড়ে বেঙ্গালুরু।

এবারের আসরে পরিসংখ্যান ঘাঁটলে জানা-অজানা অনেক তথ্যই উঠে আসবে। যাকে সংখ্যায় সংখ্যায় তুলে ধরা যেতে পারে। তারই একটি চিত্র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

ব্যাটিং:
মোট রান: ১৮,৮৬২।

বাউন্ডারি থেকে রান: ১০,৩৬০।

ছক্কা: ৬৩৮টি।

ফিফটি: ১১০টি।

সেঞ্চুরি: ৭টি (বিরাট  কোহলি একাই চারবার সেঞ্চুরি উদযাপন করেন)

দীর্ঘতম ছক্কা: ১১৭ মিটার (বেন কাটিং, বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ফাইনালে)।

সবচেয়ে বেশি রান: ৯৭৩ (বিরাট কোহলি)।

সর্বোচ্চ ইনিংস:  ১২৯ অপরাজিত (এবি ডি ভিলিয়ার্স)।

দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর: বেঙ্গালুরু-২৪৮/৩, প্রতিপক্ষ-গুজরাট লায়ন্স।

এক ম্যাচে দু’দলের সর্বোচ্চ মিলিত স্কোর: ৪০৯ (বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স, ১২ এপ্রিল)।

সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় (রান): ১৪৪ (গুজরাটের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু)

সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় (উইকেট): ১০ (গুজরাটের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদ)।

সর্বোচ্চ গড়: ৮১.০৮ (বিরাট কোহলি)।

সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক রেট: ২৩৩.৩৩ (রিশি ধাওয়ান, পাঞ্জাবের হয়ে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেন)।

এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট: ৩৫০.০০ (সরফরাজ খান, হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে)।

সর্বোচ্চ ফিফটি: ৯টি (ডেভিড ওয়ার্নার)।

সর্বাধিক শূন্য: ৩ বার (শ্রেয়াস আয়ার)।

সর্বাধিক ছক্কা: ৩৮টি (বিরাট কোহলি)।

ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা: ১২টি (এবি ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় ১২৯ রানে অপরাজিত)।

চার-ছক্কায় এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান: ১১২ রান (এবি ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে ১২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১০ 
চার ও ১২টি ছক্কা হাঁকান)।

বোলিং:
মোট উইকেট: ৬৬৫।

সর্বোচ্চ উইকেট: ২৩টি (ভুবনেশ্বর কুমার)

সেরা বোলিং ফিগার: ৪ ওভারে ৬/১৯ (অ্যাডাম জাম্পা)

সেরা গড়: ৪.০০ (শচীন বেবি, পুরো টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ১.৪ ওভার বোলিং করে ৮ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন)।

সেরা ইকোনমি রেট: ৩.০০ (নিতিশ রানা, এবারের আসরে চার ম্যাচে মাত্র ১ ওভার বোলিং করেন)।

ইনিংসে সেরা ইকোনমি রেট: ১.৫০ (ক্রিস গেইল, গুজরাটের বিপক্ষে দুই ওভারে ৩ রান দেন)।

ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিং: ৬১ রান (শেন ওয়াটসন, হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ফাইনালে)।

হ্যাটট্রিক: ১টি (আক্সার প্যাটেল)।

সর্বোচ্চ গতির বল: ঘণ্টায় ১৫০.৩১ কি.মি (জেসন হোল্ডার)।
এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান: ১৯ (কলকাতা, বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে)।

সুপার ওভার: ০।

টুর্নামেন্টের শেষ বল: ৪ (ইকবাল আবদুল্লাহ, ভুবনেশ্বর কুমারের বলে)।

ফিল্ডিং:
সর্বোচ্চ ক্যাচ:
১৯টি (এবি ডি ভিলিয়ার্স)।

এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ: ৩টি (সৌরব তিওয়ারি)।

উইকেটরক্ষক:
সর্বাধিক ডিসমিসাল: ১৮টি (নামান ওঝা, ১৭ ম্যাচে ১৮টি ক্যাচ)।

ইনিংসে সর্বাধিক ডিসমিসাল: ৪টি (পার্থিব প্যাটেল, গুজরাটের বিপক্ষে)।

পার্টনারশিপ:
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ২২৯ (কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে)।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
এমআরএম

** 
কোহলিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মুস্তাফিজের হায়দ্রাবাদ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।