ঢাকা: ২২ গজের পিচে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম মাইক হাতেও সমান আলোড়ন ফেলতে পারেন, সেটা বোধহয় কারও জানা ছিল না। এমসিসি’র স্পিরিট অব ক্রিকেট বক্তৃতায় ম্যাকালাম ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে আইসিসিকে যে ভাবে সমালোচনা করেছেন, তাতে তোলপাড় ক্রিকেট বিশ্ব।
লর্ডসে এই বক্তৃতায় ম্যাকালাম অভিযোগ করেছেন, আইসিসি’র ম্যাচ ফিক্সিং তদন্তের গোপনীয়তা ঠিক মতো রক্ষা হয় না। তার অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে ক্রিস কেয়ার্নসের বিরুদ্ধে তার দেওয়া জবানবন্দি গোপন রাখতে পারেনি আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার নীতিও যথেষ্ট নিরাপদ নয় বলে অভিযোগ করেন সদা হাস্যজ্বল এ ক্রিকেটার।
এই বক্তব্যের বিপরীতে আইসিসি অবশ্য ম্যাককালামকে সাধুবাদই জানিয়েছে, ‘ক্রিকেটে দুর্নীতি ঠেকাতে ম্যাককালামের সাহসের প্রশংসা আইসিসি আগেও করেছে, এখনও করছে। যদিও তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে, তার বিবৃতি আইসিসি’র অন্দরমহল থেকে ফাঁস হয়নি, তবে ঠিক কোথা থেকে সেই গোপন জবানবন্দি ফাঁস হয়েছে, তাও খুঁজে বার করা যায়নি। তবে আইসিসি এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে চায় যে, এখন থেকে গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও কড়া হবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ’
গত ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়া নিউজিল্যান্ড জাতীয় সাবেক অধিনায়ক ম্যাকালাম তার বক্তৃতায় আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমনের জন্য প্রমাণ জোগাড়ের ক্ষেত্রে আইসিসি’র ঢিলেঢালা ভাব মোটেই ঠিক নয়। আমার মনে হয় ক্রিকেটাররা আইসিসি’র কাছ থেকে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করে। আর প্রমাণ জোগাড়েও আরও কঠোর ও পেশাদার হওয়া উচিত। ’
ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আইসিসি’র কাছে দেওয়া ম্যাককালামের সাক্ষ্য এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায় ২০১৪ সালে। কিউই সাবেক অধিনায়কের মতে, ‘এই ঘটনায় যেমন আমার ব্যক্তিগত জীবন প্রভাবিত হয়েছে, তেমনই ভবিষ্যতে ক্রিকেটাররা আইসিসি’র কাছে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে বিবৃতি দিতেও দ্বিধাবোধ করবে। এই ব্যাপারে বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা ভরসা না দিলে তারা কী ভাবে সত্যিটা তুলে ধরবে তদন্তের সামনে?’
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ০৯ জুন, ২০১৬
এমএমএস