ঢাকা: আইসিসির বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান নারায়নস্বামী শ্রীনিবাসনের সমকামী ছেলেকে নিয়ে আবারও বিপাকে পড়েছেন শ্রীনি নিজেই। শ্রীনির ছেলে অশ্বিন শ্রীনিবাসন দাবী করছেন তার বাবাও সমকামী ছিলেন।
এর আগে শ্রীনির বিরুদ্ধে জোড় করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন অশ্বিন। একদিকে অত্যাচারী বাবা, অন্যদিকে নাছোড়বান্দা ছেলে, এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে শ্রীনি পরিবারে।
শ্রীনির নামে সমকামীতার এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে তার ছেলে অশ্বিন জানান, নিজের পাপ ঢাকতেই বাবা এখন সাধু সেজে আমার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করছেন। বাবার সঙ্গে অরল্যান্ডো হত্যাকাণ্ডের খুনী ওমর মতিনের তুলনা করা যায়। অতিতে বাবা সমকামী ছিলেন। আর তার সমকামীতার ইতিহাসকে ধ্বংস করতে তিনি উঠেপড়ে লেগেছেন। বাবা দাবী করেন তিনি বদলে গেছেন। তিনি বদলে গেলেও তার ইতিহাস বদলে যায়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে শুধুমাত্র একজন বংশধরের আশায় ছেলের যৌন চাহিদা সম্পর্কে জানা থাকার পরও শ্রীনি অশ্বিনকে একজন নারীর সঙ্গে বিয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগেন। কিন্তু শ্রীনির ছেলে অশ্বিন কোনোমতেই তার ছেলে বন্ধু অভি মুখোপাধ্যায়কে ছাড়া সামাজিক কোনো বন্ধনে জড়াতে চাননি। আর এ নিয়েই বাবা-ছেলের মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
আরও জানা যায়, শ্রীনি পুত্র তার সমকামী সঙ্গী অভির সঙ্গে চেন্নাইয়ের একটি বাড়িতে গৃহবন্দি থাকেন তার বাবার নির্দেশে।
বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে অশ্বিন জানান, বাবা আমার আর আমার ছেলে বন্ধুর ওপর অনেক অত্যাচার করেন। আমি চাই বাবা আমার ভাগের সম্পত্তি আমাকে দিয়ে দিক। আমি অভির সঙ্গে নিজের মতো করে জীবন কাটাতে চাই।
অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি শ্রীনি পুত্র। বাবার জোরজবরদস্তির প্রমাণ হিসেবে শ্রীনির লেখা একাধিক চিঠিও পেশ করেন অশ্বিন। চিঠিগুলো লেখা হয়েছিল ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। এমনি একটি চিঠিতে ২০০৭ সালের ২০ জুন শ্রীনি লিখেছিলেন, ‘তুমি আমাদের একমাত্র ছেলে। আমরা তোমাকে অনেক ভালবাসি। তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু আশাও করি। আমি আমার সারা জীবনের অর্জিত অর্থ জমিয়ে রেখেছি আমার বংশধরের জন্য। কোনো অপরিচিত ব্যক্তির কাছে সেই অর্থ দিতে চাই না। আমার বংশধরের কাছে দিয়ে যেতে চাই। তাই তুমি আমাদের পছন্দের কোনো মেয়েকে বিয়ে করে সামাজিক বন্ধনে জড়াও। ’
এদিকে, অশ্বিন ও তার সঙ্গী অভি মাদকাসক্ত থাকায় শ্রীনি কথা দিয়েছিলেন, মাদক ছাড়লে তাদের সম্পর্ক মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু, শ্রীনির ছেলে জানান প্রায় দুই বছর আগের দেওয়া কথা তার বাবা রাখেননি। ছেলের পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র সব কেড়ে নিয়েছেন শ্রীনি। এমনকি হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। এমন অবস্থায় অশ্বিন ও তার ছেলে বন্ধু অভি সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করা এনজিও গুলোর সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ২০ জুন ২০১৬
এমআরপি