ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আরিফুলের ম্যাজিকে জিতলো মুশফিকরা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
আরিফুলের ম্যাজিকে জিতলো মুশফিকরা

ঢাকা: চলমান ডিপিএলের সুপার সিক্স রাউন্ডে জয় পেয়েছে শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে পড়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শিরোপা লড়াইয়ের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া আরেক দল সাব্বির, সোহান, রুবেল, শুভাগত হোমদের প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে এক উইকেটে হারিয়েছে মুশফিক, নাঈম, আরিফুলদের মোহামেডান।

উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটির শেষ ওভারে পরপর তিন বলে তিনটি রানআউটের ঘটনা ঘটলেও শেষ বলে ম্যাচটির নিষ্পত্তি ঘটে।

সোমবার (২০ জুন) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে সাব্বির রহমানের ব্যাটে ভর করা প্রাইম ব্যাংক ৪৮.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৪ রান তোলে। জবাবে, আরিফুল হকের দুর্দান্ত শতকে আর মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় ৯ উইকেট হারানো মোহামেডান।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। যদিও শুরুটা ভালো করতে পারেনি শুভাগত হোমের দল। দলীয় মাত্র ৮ রানেই ওপেনার মেহেদি মারুফকে মোহামেডান পেসার শহিদুল ইসলাম সাজঘরে ফেরান। ব্যক্তিগত ৭ রানে তিনি উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচে পরিণত হন।

তবে শুরুটা ভালো না হলেও পরের ব্যাটসম্যানদের থেকে ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংস বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে দলের হাল ধরেন জাতীয় দলের ইনর্ফম ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। তিনি ৬৬ বলে মারমুখি হয়ে ৭৭ রান করেন। তার ইনিংসটিতে ছিল ৭টি চার ও তিনটি ছয়ের মার।

এছাড়া দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার উন্মুখ চাঁদ। ভারতীয় এই রিক্রুট ৬২ বল মোকাবেলা করে ৫টি চার ও এক ছয়ে তার ইনিংসটি সাজান। ৩১ রান করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু শেষ দিকে মোহামেডানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আড়াইশ রানের আগেই শেষ হয় প্রাইমের ইনিংস। ৪৮.৪ ওভারে ২৪৪ রান তুলতে সবকটি উইকেট হারায় দলটি।

মোহামেডান বোলারদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম, ফাইসাল হোসেন, এনামুল হক জুনিয়র ও নাঈম ইসলাম দুটি করে উইকেট পান। আর একটি করে উইকেট দখল করেন হাবিবুর রহমান, সুবাশিস রায়।

২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানের ওপেনার সৈকত আলী (৯) এবং হামিদুল ইসলাম (৮) দ্রুত বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা হাবিবুর রহমান ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। টাইগারদের টেস্ট দলপতি ৬৩ বল থেকে ৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তার ইনিংসটি সাজান।

মাঝে নাঈম ইসলাম (১৯) আর নাজমুল হোসেন মিলন (১২) ফিরে গেলেও শতক হাঁকিয়ে দলকে জয় পাইয়ে দেন আরিফুল হক। ছয় নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান ৯৯ বল খেলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর দুটি ছক্কার মার।

শেষ ওভারে মোহামেডানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। ফাইসাল হোসেন শেষ ওভারের তৃতীয় বলে রানআউট হওয়ার আগে ২৫ রান করেন। চতুর্থ বলে রানআউট হন এনামুল। পঞ্চম বলে রানআউট হন সুবাশিস। শেষ বলে মোহামেডানের দরকার হয় দুই রান। তবে, স্ট্রাইকে থাকা আরিফুল রুবেল হোসেনের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের শতক পূর্ণ করার সঙ্গে দলকে জয় পাইয়ে দেন।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, তাইবুর রহমান।

এ ম্যাচে জয়ের ফলে ১৫ ম্যাচ খেলা মোহামডোনের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ালো ১৬। আটটি জয়ের সঙ্গে সাতটি পরাজয় তাদের। অপরদিকে, সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলা প্রাইমের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। আটটি ম্যাচে হারের পাশাপাশি সাতটি ম্যাচ জিতেছে দলটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ২০ জুন ২০১৬
এমএমএস/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।