ঢাকা: বাংলাদেশ সফরের জন্য ইংল্যান্ডের প্রতিটি ক্রিকেটারকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে বলা হতে পারে। কোনো ক্রিকেটার যদি সফরে যেতে ইচ্ছুক না হয় তবে তাকে স্কোয়াডে না রেখেই বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড।
বিবিসি রেডিও ৫ লাইভকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মরগান বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এই সফরে যাবার জন্য কাউকে চাপ দেয়া হবে। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সবাই একসাথে হওয়া এবং যাদের আমরা বিশ্বাস করি তাদের কাছ থেকে সবকিছুর ব্যাপারে অবগত হওয়া তারপর সেখানে যাবার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া। ’
বৃহস্পতিবারের মিটিং এর জন্য মরগান অপেক্ষা করছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি সেই মিটিং এর জন্য অপেক্ষা করছি। তারা আমাদের দুইটি সফর সম্পর্কে সব কিছু পূর্নাজ্ঞ বর্ণনা করবেন এবং আমরা একসাথে দল হিসেবে আলোচনা করবো। এটা অবশ্যই খোলামেলা আলোচনা হবে। ’
এর আগে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেশে ফেরেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তিন কর্মকর্তা। তবে, দেশে ফিরে ইলিশদের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কার কথাই জানিয়েছেন ইসিবির নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকসন। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে তিনি বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে কিছু আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
ইসিবির নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলটি এখনও তাদের রিপোর্ট জমা দেননি। গত বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকায় আসে ইসিবির নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি দল। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করার পাশাপাশি প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রামের ভেন্যুও পরিদর্শন করে। ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার আগে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের সার্বিক দিক নিয়ে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছিল।
এই সপ্তাহে বোর্ডের কাছে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে অক্টোবরে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফরে আসবে কি না। তাদের রিপোর্টের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের ভাগ্য! বাংলাদেশে এসে প্রতিনিধি দলটি ভেন্যু পরিদর্শনের পাশাপাশি সম্ভাব্য টিম হোটেল আর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছিল। দলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও সভা করে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেল কিংবা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নন ডিকসন। তবে, বিমানবন্দর থেকে হোটেল আর হোটেল থেকে ভেন্যু পর্যন্ত যাওয়ার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ডিকসন। তার মতে, এশিয়ার জনবহুল শহরগুলোতে বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়াটা একটু কঠিনই।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ইংল্যান্ড দল ও মিডিয়ার পাশাপাশি ইসিবিকে তাদের সমর্থকদের কথাও ভাবতে হচ্ছে। ক্রিকেটারদের টিম হোটেলের নিরাপত্তা ভালো হলেও, বাংলাদেশে খেলা দেখতে আসা সমর্থকরা তাদের থাকার জায়গায় কতটা নিরাপত্তা পাবে তা নিয়েও ডিকসন শঙ্কিত।
উল্লেখ্য, গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ার ঈদগাহে জঙ্গী হামলার ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। যার ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। যদি ইসিবির ঘোষনা ইতিবাচক হয় তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সফরে দুইটি টেস্ট ও তিনটি একদিনের ম্যাচের সিরিজ খেলবে তারা। আগামী ৭ অক্টোবর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। একই মাঠে পরের ম্যাচ হবে ৯ অক্টোবর। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২ অক্টোবর তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচ। এদিকে একই ভেন্যুতে ২০ অক্টোবর শুরু হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট ২০১৬
এমএমএস