ঢাকা: এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) ক্যাম্প শুরুর আগে বিসিবির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ক্রিকেটারদের উন্নতি যাচাইয়ে প্রয়োজনে রাখা হবে বিদেশ সফর। তবে তেমনটা হচ্ছে না এবার।
আগামী ২৮-৩০ আগস্ট সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ম্যাচ। এরপর ফতুল্লায় ৩-৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় তিনদিনের ম্যাচ। এ দুটি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যাবে এবারের এইচপি ক্যাম্প।
এইচপির হেড কোচ সায়মন হেলমটকে ছাড়াই গত ১৭ জুলাই ২৫ ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ছয় সপ্তাহের ক্যাম্প। অস্ট্রেলিয়ান এ কোচকে ছাড়াই শেষ হচ্ছে জাতীয় দলের পাইপলাইনে ক্রিকেটার তৈরী করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ক্যাম্পটি।
এই ক্যাম্পে কোচ হিসেবে কাজ করেছেন জাফরুল ইসলাম, সোহেল রহমান, মোহাম্মদ রফিক,ওয়াহিদুল গনি, সারোয়ার ইমরান ও মিজানুর রহমান বাবুল। পেস বোলিং পরামর্শক হিসেবে ক্যাম্পের পেসার নিয়ে কাজ করে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদ। আর স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করে গেছেন সাবেক ভারতীয় অফস্পিনার ভেঙ্কটপতি রাজু।
ক্যাম্প থেকে ক্রিকেটাররা কতটুকু কি শিখেছেন সেটি প্রমাণের পালা এবার। কোচ মিজানুর রহমান বাবুল আশাবাদী অনুশীলনের প্রতিফলন ম্যাচে দেখার ব্যাপারে, ‘সামনে বিসিএল আছে। এ ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল লংগার ভার্সন বিসিএলে যেন ছেলেরা ভালো করতে পারে। বড় পরিসরের ক্রিকেটে আমরা এমনিতেও পিছিয়ে। টেকটিস, টেকনিক নিয়ে আমরা যে কাজ করলাম ওটার একটা প্রতিফলন দেখা যাবে সিলেটে ও ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচে। ’
ক্যাম্পে ক্রিকেটারদের নিয়ে কিভাবে কাজ হয়েছে সেটির বিস্তারিত তুলে ধরেন যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞ কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, ‘এখানে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। ম্যাচে পারফরম্যান্স কিভাবে বের করে আনতে হয়। এখানে বেশিরভাগ ক্রিকেটারই তরুণ। অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে অনেকে এসেছে, প্রিমিয়ার লিগের পারফরমাররা আছে, কিছু সিনিয়র প্লেয়ার আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, স্পিন বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। কার কোনটাতে দূর্বলতা সেটা নির্দিষ্ট করে যার যতটুকু প্রয়োজন সেভাবেই কাজ হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ২৪ আগস্ট, ২০১৬
এসকে/এমএমএস