ঢাকা: বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে খেলতে সফরে আসবে ইংল্যান্ড। আর এ সফরে ইংলিশ তারকা ক্রিকেটারদের আসা, না আসা নিয়ে গুঞ্জন থেকেই যাচ্ছে।
২৭ বছর বয়সী হেলস ইংলিশদের হয়ে ৩৬ ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সাদা পোশাকে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১১ ম্যাচে নেমেছেন। তবে, বাংলাদেশ সফরের টেস্ট দলে জায়গা নিয়ে নিশ্চিত নন হেলস। একই সঙ্গে আসন্ন সফরে আসা নিয়েও তিনি রয়েছেন দোটানায়।
হেলস জানান, ‘বাংলাদেশ সফর আমার জন্য একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। যদি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে দলে জায়গা হারানোর সম্ভাবনা আছে। আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না, কি করবো। তবে, আমার হাতে এখনও কিছুদিন সময় আছে। এর মধ্যেই কিছু একটা জানিয়ে দেব। ’
ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ইসিবিকে সবুজ সংকেত দেয়। দলের প্রধান রেগ ডিকাসনের রিপোর্টের উপর নির্ভর করে ইসিবি বাংলাদেশ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, ক্রিকেটারদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সফরে আসা, না আসার বিষয়টি। তাতে হেলসের সঙ্গে দোটানায় রয়েছেন জস বাটলার, লিয়াম প্লাংকেটরা।
ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ড্রি ক্যাডিকের মতামত আবার ভিন্ন। তার মতে, কোনো ক্রিকেটার যদি সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকিতে পড়বে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার পর ইংল্যান্ডের সফর ছিল ভারতে। সেবার ইসিবি সফরের ব্যাপারে ক্রিকেটারদের নিজস্ব মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। সেই সফরে ক্যাডিক ও রবার্ট ক্রোফট ভারতে যাননি। পরবর্তীতে ক্যাডিক দলে ফিরে ২০০৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেললেও ক্রোফট আর সুযোগ পাননি।
সফর পরবর্তী সময়ে তাদের নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেছিল। ব্যাপারটি ছিল খুবই বিব্রতকর।
এদিকে, বাংলাদেশ সফরে আসলেও টেস্টে সুযোগ পাবেন কি না- এমন চিন্তাতেও আছেন হেলস। তিনি জানান, ‘যদিও ওয়ানডে এবং টেস্ট দুটি ভিন্ন সংস্করণ। ওয়ানডেতে সাদা বলে রান করাটা খারাপ না। আশা করি, দলের সঙ্গে গেলে টেস্টেও সুযোগ পাব আমি। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সফরের ব্যাপারে আমাকে সব ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ডিকাসনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তারপরও আমি ইসিবি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস, নিরাপত্তার বিষয়ে জড়িত কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আরও আলোচনা করবো। ’
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল।
সিরিজের সূচি:
প্রথম ওয়ানডে (৭ অক্টোবর) - মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয় ওয়ানডে (৯ অক্টোবর) – মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।
তৃতীয় ওয়ানডে (১২ অক্টোবর) – চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।
প্রথম টেস্ট (২০-২৪ অক্টোবর) - চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয় টেস্ট (২৮ অক্টোবর-১ নভেম্বর) – মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম।
সবগুলো ওয়ানডে ম্যাচ দুপুর ১টায় আর সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে টেস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬
এমআরপি