ঢাকা: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করার পর এবার টেস্ট খেলতেও প্রস্তুত আফগানিস্তান। সেই অর্থে আইসিসি’র নতুন প্রস্তাব দ্বি-স্তরের টেস্টেও সমর্থন আছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
এক সাক্ষাতকারে স্তানিকজাই বলেন, ‘আমি মনে করি টেস্ট খেলতে আমরা প্রস্তুত আর ইতোমধ্যে আমরা নিজেদের প্রমাণও করেছি। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে খেলার পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচে হেরেছি। ২০১৩ সালে আসরটির ফাইনালে আমরা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাই। চার দিনের খেলায় সেটিই আমাদের একমাত্র হার। ’
২০১৫-১৭ ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চতুর্থ রাউন্ড শেষে লিগ টেবিলে বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আফগানরা। শীর্ষে জায়াগা করে নিয়েছে আইরিশরা।
এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি ১৯টি ম্যাচের মধ্যে ১৪টিতে জিতেছে। চারটি ড্রয়ের সঙ্গে রয়েছে মাত্র একটি হার। এমনকি ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে হাই স্কোরের একটি ম্যাচ ড্র করে মোহাম্মদ নবীর দলটি।
আফগানরা ৪০০ বা তার বেশি ছয়টি ইনিংস খেলেছে। যেখানে ১১বার তারা ১০০ ওভারের বেশি ব্যাটিং করে। এছাড়া দেশের বাইরে স্কটল্যান্ড, কেনিয়া, কানাডা, নামিবিয়া ও নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েও সফল তারা।
দেশটির সর্বশেষ ছয়টি জয় এসেছে ইনিংস ব্যবধানে। যেখানে আরও তিনটি ম্যাচ জিতেছে ১০ উইকেটে, ৮ উইকেটে ও ২০১ রানের ব্যবধানে।
স্তানিকজাই আরও বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটের প্রতিটি ফরম্যাটের জন্য ভালো খেলোয়াড় আছে। আমাদের টি-টোয়েন্টির জন্য যেমন বিশেষ ক্রিকেটার আছে, তেমনি ওয়ানডে ও চারদিনের ম্যাচেও আলাদা খেলোয়াড় আছে। ’
এদিকে, প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসছে আফগানিস্তান। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পৌঁছাবে সফরকারীরা। আর ২৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তুতি ম্যাচটি হবে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে।
২৫, ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ০১ অক্টোবর তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি ম্যাচই দিবারাত্রির, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। রিজার্ভ ডে রাখায় ম্যাচের মাঝে দু’দিন করে বিরতি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
এমএমএস