ঢাকা: ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে বিশ্বসেরা বোলারদের মুখোমুখি হয়ে চ্যালেঞ্জ জয় করেছেন। বর্তমানে যিনি বোলারদের শাসন করে যাচ্ছেন শৈল্পিক ব্যাটিং নৈপুণ্যে।
সম্প্রতি ডি ভিলিয়ার্সের আত্মজীবনী ‘এবি: দ্য অটোবায়োগ্রাফি’ প্রকাশিত হয়। সেখানে প্রোটিয়া ব্যাটিং জিনিয়াস উল্লেখ করেন, ছোটবেলায় নিজের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সাবেক নর্দার্ন্স পেসার জেরিত ডেইস্টের মুখোমুখি হওয়ার সময় ব্যাট হাতে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হতো।
বয়সে ১১ বছরের বড় ডেইস্টকে নিয়ে ডি ভিলিয়ার্সের অভিমত, ‘সে এখনো আমার একজন ভালো বন্ধু এবং আমার ভাই। ’ যখন একে অপরের বিপক্ষে খেলায় মেতে উঠতেন তখন কেবল একজন বালক ছিলেন এবি। এই অভিজ্ঞতেই তার ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, ‘এখনো যখনই কেউ আমাকে মুখোমুখি হওয়া সেরা বোলারের নাম বলতে বলে দ্রুতই আমার মনে চলে আসে জেরিত ডেইস্টের নাম। ’
ডি ভিলিয়ার্স আরও লেখেন, ‘এটাই প্রতিক্রিয়া নয় যেটা আমি মিডিয়া সাক্ষাৎকারে দিয়েছি কারণ এটার জন্য দীর্ঘ ব্যাখ্যা আসবে। কিন্তু এটাই সত্য। আমরা পরবর্তীতে টুকিসের (টুকস ক্রিকেট ক্লাব) হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলাম। আমি অনেকবারই নেটে তার মুখোমুখি হয়েছিলাম এবং সে সবসময়ই আমাকে সমস্যায় ফেলতো। ’
নির্দিষ্ট একটি ঘটনার কথাও তুলে ধরেন ডি ভিলিয়ার্স। বড় ভাই জ্যান ডি ভিলিয়ার্স ও ওয়েসেলস ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ডেইস্ট ও ভবিষ্যতের টেস্ট ও ওডিআই খেলোয়াড় মার্টিন ভ্যান জার্সভেল্ট তার ক্রিকেট সঙ্গী ছিলেন। সেখান থেকেই এবি’র ক্যারিয়ারের ভিত্তি গড়ে ওঠেছিল। তখন তার বয়স ছিল ১১ আর ডেইস্টের ২২। যিনি টেপটেনিস বলে হাতে তৈরি সাধারণ পিচে বোলিং করতেন। যেটি ছিল মাত্র ১৪ গজ দীর্ঘ।
‘সে ছিল লম্বা, স্ট্রং ফাস্ট বোলার। খেলতো জোহানেসবার্গের সিনিয়র ক্লাবে। যতটুকু সম্ভব লম্বা রান-আপ নিয়ে বোলিং করতো। আমি ছিলাম ছোট। খেলতাম ওয়ার্মবাথস প্রাইমারি স্কুলের হয়ে খালি পায়ে। এটা ছিল একটা অদম্য পরিবেশ যেখান থেকে আমি ক্রিকেট খেলাটা শিখেছি। ’
খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৩ বছর বয়সী ডেইস্ট একজন বাঁহাতি পেসার ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি নর্দার্ন্সের হয়ে ক্যারিয়ারের একমাত্র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচটি খেলেন। নাটাল টিমের বিপক্ষে ৫৪ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি উইকেট। যে দলে ছিলেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
এমআরএম