মিরপুর থেকে: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২২০ রানের জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে ইংল্যান্ড। তিন উইকেটে পঞ্চাশ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নেমে আরো দুই উইকেট হারিয়েছে তারা।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি ২৫ ওভার শেষে ইংলিশদের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৯৯। জো রুট ৩৪ ও জনি বেয়ারস্টো ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
১৬তম ওভারে স্টোকসকে (০) মুমিনুল হকের ক্যাচে পরিণত করে উইকেটের খাতায় নাম লেখান তাইজুল ইসলাম। আগের ওভারেই মঈনকে (১০) ক্লিন বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দেন আগের দিনের দুই উইকেটশিকারি মেহেদি হাসান মিরাজ।
বৃষ্টির কারণে গতকাল (২৮ অক্টোবর) পুরোদিন খেলা সম্ভব হয়নি। ১২.৩ ওভার শেষে মাঠ ছাড়েন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জো রুট ও মঈন আলী।
শুক্রবার স্বাগতিকদের ২২০ রানের জবাবে শুরুতেই বেন ডাকেটের (৭) উইকেট হারায় ইংলিশরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট উদযাপনে মাতেন সাকিব অাল হাসন। পঞ্চম ওভারে ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুককে এলবিডব্লুর ফাঁদে পেলেন চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ।
পরে গ্যারি ব্যালান্সকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন ১৯ বছর বয়সী এ উঠতি অফস্পিন অলরাউন্ডার। ডাকেটের পর ব্যালান্সকেও গ্লাভসবন্দি করেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ৪২ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় তারা।
এর আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের প্রথম সেশনে একক আধিপত্য দেখায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ক্রমেই যেন উইকেটের আচরণ বদলায়! দলীয় ১ রানে ইমরুল কায়েসকে (১) হারালেও মুমিনুল হককে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে শক্ত ভিত গড়ে দেন সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল।
তামিমের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২০ রানে। শুরুটা বাঘের মতো হলেও মিডঅর্ডারের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি। চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট যেন ফিরে আসে মিরপুরে। বল মন্থর হয়ে ব্যাটে আসার সঙ্গে টার্নও বাড়তে থাকে। এর পুরো সুবিধাই কাজে লাগায় বোলাররা। একদিনে দু’দলের ১৩ উইকেটের পতন তো তারই প্রমাণ।
শেষ ৪৯ রানে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ৩০ রানে আট উইকেট। ভাবা যায়! রীতিমতো ধসই নামের টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপে। ব্যাটিংয়ে হতাশার দিনে উজ্জ্বল ছিলেন তামিম ও মুমিনুল। অন্যদিকে, ইংলিশদের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট দখল করেন অফস্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলী।
ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম (১০৪)। ৪২তম ওভারে মঈনের বলে এলবিডব্লুর শিকার হন দেশসেরা এ ওপেনার। মঈনের বলেই বোল্ড হয়ে ৬৬ রান করে আউট হন মুমিনুল। আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
বাজে শট খেলে একে একে সাজঘরে ফেরেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩, সাকিব অাল হাসান ১০, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৪, সাব্বির রহমান ০, শুভাগত হোম ৬, কামরুল ইসলাম রাব্বি ০ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম।
মঈনের সঙ্গে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ইমরুলকে ফিরিয়ে উইকেটের সূচনা করা ক্রিস উকস ও বেন স্টোকস। উকস তিনটি ও বাকি দুই উইকেট নেন স্টোকস।
সিরিজ বাঁচাতে এ ম্যাচে মুশফিকদের জয়ের বিকল্প নেই। দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে সফরকারীরা। চট্টগ্রামে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও শেষদিকের ছন্দপতনে ২২ রানের পরাজয় সঙ্গী হয়। মিরপুরে কী সেই আক্ষেপ মেটাতে পারবে টিম বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এমআরএম