মিরপুর থেকে: চলমান বিপিএলের ২৬তম ম্যাচে সহজ জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যায় মাঠের লড়াইয়ে নামে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানস। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের দলপতি মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচে জয়ের ফলে ৮ ম্যাচ থেখে খুলনার সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ালো ১২ পয়েন্ট। দুইয়ে থাকা রংপুর রাইডার্স এক ম্যাচ কম খেলে অর্জন করেছে ১০ পয়েন্ট। আট ম্যাচ খেলে টেবিলের ছয় থাকতে হলো ৬ পয়েন্ট অর্জন করা বরিশালকে।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করা মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১১৯ রান। রংপুরকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠতে এই স্কোর টপকাতে খুলনা ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮.৪ ওভার ব্যাট করে।
বরিশালের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন জীভান মেন্ডিস এবং ডেভিড মালান। দলীয় ১৮ রানের মাথায় মালানের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাকিস্তান পেসার জুনায়েদ খানের বলে নিকোলাস পুরানের তালুবন্দি হন ১০ বলে ৭ রান করা মালান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেন্ডিস। শফিউলের বলে জুনায়েদের তালুবন্দি হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। দলীয় ২৪ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় বরিশাল।
এরপর জুটি গড়েন শাহরিয়ার নাফিস এবং মুশফিক। এই জুটি থেকে আসে ৪২ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে মোশাররফ রুবেল ফিরিয়ে দেন নাফিসকে। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায়ের আগে ২৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে ২৩ রান করেন নাফিস। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় বরিশালের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। দ্রুত বিদায় নেন নাদিফ চৌধুরি। রান আউট হয়ে ফেরেন ১ রান করা নাদিফ। তার বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরা আর মুশফিকের মাঝে ভুল বুঝাবুঝিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন বরিশালের দলপতি। মুশফিক বিদায় নেওয়ার আগে করেন ৩১ রান। তার ২৬ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি বাউন্ডারির মার।
থিসারা পেরেরা ১৯ বলে অপরাজিত ১৭ রান করেন। এনামুল হক ২০ বলে একটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২০ রান।
১২০ রানের সহজ টার্গেটে ব্যাট করতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা। দলের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তাইবুর রহমান ও হাসানুজ্জামান। ওপেনার হাসানুজ্জামানকে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের প্রথম ওভারে বোল্ড হওয়ার আগে খুলনার এই ওপেনার করেন ৪ রান। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন রিকি ওয়েসেলস। রুম্মন রইসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। দলীয় ১৬ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় খুলনা।
ইনিংসের নবম ওভারে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তাইবুর রহমান। খুলনার এই ওপেনারকে ফেরান মুশফিক। ২৫ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২১ রান করেন তিনি। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিতে থাকেন শুভাগত হোম এবং দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি থেকে আসে ৫৭ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে বিদায় নেন ৪০ রান করা শুভাগত হোম। রুম্মনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে শুভাগত ৩৪ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৫ বলে একটি চার আর ২টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩৬ রান। ৮ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান।
আগের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারেনি শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্স। বিপিএলের ২৫তম ম্যাচে ড্যারেন স্যামি-সাব্বির রহমান-মেহেদি হাসান মিরাজদের রাজশাহীর বিপক্ষে ১২ রানে হেরেছে সৌম্য সরকার-মোহাম্মদ মিঠুন-নাঈম ইসলামের রংপুর। টস হেরে ব্যাট করা রাজশাহী কিংস শীর্ষে থাকা রংপুরের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬২ রান। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রাজশাহীর দলপতি ক্যারিবীয়ান তারকা ড্যারেন স্যামি। রংপুরের মোহাম্মদ মিঠুন অর্ধশতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকলেও ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ১৫০ রানে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি