মিরপুর থেকে: টিম হোটেলে নারী অতিথি নিয়ে যাওয়ায় বিপিএলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গেল ২৯ নভেম্বর বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে বরিশাল বুলস পেসার আল-আমিন হোসেন ও রাজশাহী কিংস অলরাউন্ডার সাব্বির রহমানকে।
সেদিন দিবাগত রাতেই বিসিবির দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠের বাইরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আল-আমিন হোসেনের বিপিএলের মোট চুক্তির ৫০ শতাংশ ও সাব্বির রহমানের ৩০ শতাংশ অর্থ কেটে নেয়ার নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বিসিবি এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও ফেইসবুকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় নিজের অপরাধ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী কিংস অলরাউন্ডার সাব্বির রহমান। ভিডিও বার্তায় এই ক্রিকেটার বলেছেন, তার সঙ্গে তোলা ছবির যদি অপব্যবহার হয়, তাহলে তার কিছুই করার নেই।
ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আপনারা কয়েকদনি ধরে আমার সর্ম্পকে যা শুনছেন, আপনাদের কি বিশ্বাস হয়, আমি এসব করতে পারি? আপনারা যদি মনে করনে, এসব কাজ আমি করতে পারি তাহলে আমার কিছুই বলার নেই। ’
আত্মপক্ষ সমর্থন করে তিনি আরও বলেছেন, ‘সবাই জানুক, বুঝুক, আমি এমন কাজ কখনোই করতে পারি না। ’
তবে সাব্বির দোষ অস্বীকার করলেও বিসিবি দাবী করছে স্পষ্ট প্রমানের ভিত্তিতে অপরাধ স্বীকার করায় সাব্বিরকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি গণামাধ্যমকে জানিয়েছেন বিপিএল সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। ‘সাব্বির যে ইস্যুতে শাস্তি পেয়েছে সেটা সে নিজেই স্বীকার করেছে। আমাদের একটি শুনানি কমিটি করা হয়েছিল সেখানে সিইও ও দুর্নিতি দমন কমিশনের প্রধান উপস্থিত ছিলেন। ওই শুনানিতে সে শিকার করেছে, আমরা যে অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি দিয়েছি সেই অপরাধে সঙ্গে সে জড়িত ছিল। যেহেতু ও একজন তরুণ ও উদীয়মান একজন ক্রিকেটার সেহেতু ওর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করেই আমরা গণমাধ্যমকে ওর অপরাধের বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলিনি। তবে আমরা আশা করবো ও নিজেকে শুধরে নিবে। আমরা যেটাই করেছি সেটা প্রমান সাপেক্ষে। তাকে এটা কাটিয়ে উঠতেই হবে। ’
এরপরেও সাব্বির নিজেকে না শোধরালে নিষেধাজ্ঞার মত কঠোর শাস্তি তাকে পেতে হবে বলেও জানিয়েছেন এই বিপিএল সদস্য সচিব। ‘ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটালে সে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। এ কথা আমি দ্যার্থহীনভাবে বলতে পারি। কারণ আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট এই সব ব্যাপারে ভীষণ কঠোর। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস