মিরপুর থেকে: এলিমিনিটর ম্যাচে রাজশাহী কিংসের কাছে ৩ উইকেটে হেরে বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস। পুরো টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিম ইকবাল ছাড়া কেউই জ্বলে উঠতে পারেননি।
তাসকিন আহমেদ একটি ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেও বাকি ম্যাচগুলোতে কমই দেখা গেছে জ্বলে উঠতে। আরেক পেসার শুভাশিষ রায় করে গেছেন নির্বিষ বোলিং। মিডলঅর্ডারে ব্যাট করা এনামুল হক বিজয়, জহুরুল ইসলামরা খেলতে পারেননি ভালো কোনো ইনিংস।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের কাছ থেকে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভালো কিছু আশা করেছিলেন চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি নির্ভরশীল না হওয়ার ব্যাপারেও বার্তা দিয়েছিলেন তামিম। তাতেও কাজ হয়নি।
বিপিএল থেকে ছিটকে পড়ে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা ঝরে তামিমের কণ্ঠে, ‘চিটাগংয়ের স্থানীয় ক্রিকেটাদের মধ্যে তাসকিন হয়তো এক বা দুই ম্যাচে ভালো করেছে। ব্যাটিংয়ে যদি আরেকটু সাপোর্ট পেতাম স্থানীয় ক্রিকেটারদের থেকে তাহলে কাজটা সহজ হয়ে যেত। প্রতিদিন হয়তো আমি বা বিদেশি ক্রিকেটাররা রান করবো না। ’
শেষ চারে উঠা অন্য তিন দলের স্থানীয় ক্রিকেটারদের উদাহরণ টেনে তামিম বলেন, ‘যদি দেখেন ঢাকা, রাজশাহী এমনকি খুলনা স্থানীয় ক্রিকেটাররা ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছে। ওরা একটা ম্যাচের সাপোর্ট হয়ে যায়। এদিক থেকে আমাদের ঘাটতি ছিল। কিন্তু ওদের প্রতিজ্ঞা ও চেষ্টা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই এমন হয়েছে। ’
ব্যাট হাতে চিটাগংকে এবার দারুণভাবে এগিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। ১৩ ম্যাচে ৬টি অর্ধশতকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪৭৬ রান করেছেন। অথচ সেই তামিমের দলই কিনা পারলো না ফাইনাল খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে!
** তামিমের ১১ রানের আক্ষেপ
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি