ঢাকা: অভিষিক্ত পেসার আশিকুজ্জামানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বরিশাল বিভাগকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাঠে নেমেই সাতক্ষীরার ডানহাতি এই পেসার তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের টায়ার ওয়ানের ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ১৭১ রান। জবাবে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে খুলনা সংগ্রহ করে ৩৭১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল ২১১ রানে গুটিয়ে গেলে জয়ের জন্য খুলনার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ১২ রান। কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে খুলনা।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে প্রথম ইনিংসে বরিশালের দলপতি ফজলে মাহমুদের ৯৫ রানের ইনিংসটি ছিল দলীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। শাহরিয়ার নাফিস ১০ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান ছিল শাহিন হোসেনের। প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট দখল করেন জিয়াউর রহমান আর আশিকুজ্জামান। এছাড়া, দুটি করে উইকেট দখল করেন আল আমিন হোসেন এবং বিশ্বনাথ হালদার।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খুলনার হয়ে শতক হাঁকান আনামুল হক বিজয় এবং তুষার ইমরান। ২০২ বলের ইনিংসে বিজয় ১১টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা হাঁকান। আর তুষার ইমরানের ১৯১ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার আর একটি ছক্কার মার।
বরিশালের হয়ে একাই ছয়টি উইকেট নিয়েছিলেন মনির হোসেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস ৮ আর আবু সায়েম ১৫ রান করে বিদায় নেন। আগের ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাট করা বরিশালের দলপতি ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে কোনো রান আসেনি। আল আমিন করেন ৩৭ রান। মিডলঅর্ডারে মনির হোসেন ৭০ আর শেষ দিকে তৌহিদুল ইসলাম ৩০ রান করে দলকে ইনিংস পরাজয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন।
মাত্র ১২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে খুলনা জয় তুলে নেয়। এর আগে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিতে ৬ উইকেট তুলে নেন ২৫ বছর বয়সী পেসার আশিকুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬
এমআরপি