আগে ব্যাট করা স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৮৬ রান। জবাবে, স্টোইনিসের মহাকাব্যিক এক ইনিংসের পরও ৪৭ ওভারে ২৮০ রানে থেমে যায় অজিদের ইনিংস।
কিউইদের হয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন মার্টিন গাপটিল আর টম ল্যাথাম। দলীয় ১৩ রানের মাথায় ল্যাথাম ব্যক্তিগত ৭ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার গাপটিলের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। তার ৭৩ বলের ইনিংসে ছিল আটটি বাউন্ডারির মার।
কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসন ২৪ আর সিনিয়র ব্যাটসম্যান রস টেইলর ১৬ রান করে বিদায় নেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে নেইল ব্রুমের ব্যাট থেকে। ৭৫ বল মোকাবেলা করা এই ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কার মার আসে।
কলিন মুনরো ২ রানে বিদায় নেন। জেমস নিশাম ৪৫ বলে করেন ৪৮ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি উইকেট নেন মার্কাস স্টোইনিস। দুটি উইকেট পান প্যাট কামিন্স। আর একটি করে উইকেট দখল করেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, জেমস ফকনার এবং ট্রাভিস হেড।
২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে অজিদের টপঅর্ডার ভালো করতে পারেনি। অজিদের দলপতি ও ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেড করেন ৫ রান। তিন নম্বরে নামা শন মার্শের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। ৭ রান করেন হ্যান্ডসকম্ব, ২০ রান করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
অভিষিক্ত স্যাম হ্যাজলেটের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় অজিরা ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। এরপর জুটি গড়েন স্টোইনিস এবং জেমস ফকনার। এই জুটি থেকে আসে ৮১ রান। দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় বিদায় নেন ফকনার। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ রান।
আরেক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন স্টোইনিস। প্যাট কামিন্সের সঙ্গে জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে আরও ৪৮ রান যোগ করেন। কামিন্স সাজঘরে ফেরেন ২৮ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় ৩৬ রান করে।
অজি জার্সি গায়ে মাত্রই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকান স্টোইনিস। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শতক করার পাশাপাশি তিনটি উইকেট দখল করেন স্টোইনিস। তার আগে আরও ৩১ ক্রিকেটার এই রেকর্ড গড়েছিলেন। শেষ দিকে, মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েন স্টোইনিস। যেখানে স্টার্কের ছিল মাত্র ৩ রান। আর জস হ্যাজেলউডের সঙ্গে শেষ উইকেট জুটিতে ৫৪ রান করেন। কোনো বল না খেলেই রানআউট হন হ্যাজেলউড।
সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের রেকর্ড করেন স্টোইনিস। ২০১৫ সালে ১৭০ রান করে এই রেকর্ডের মালিক হয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের লুক রঞ্চি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি এই মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন।
স্টোইনিস ১১৭ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ১৪৬ রান নিয়ে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কার মার, ছিল ৯টি বাউন্ডারি। তবে, দলকে জেতাতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় অজি এই ২৭ বছর বয়সী উঠতি তারকাকে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন মিচেল স্যান্টনার। দুটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং লুকি ফার্গুসন।
আগামী ০২ ফেব্রুয়ারি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি