মুশফিকের আগে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান এবং সাবেক দলপতি হাবিবুল বাশার তিন হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন।
২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্টে অভিষেক হয় মুশফিকের।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ৩৪ এর উপরে ব্যাটিং গড়ে মুশফিকের রয়েছে চারটি শতক। ইনিংস সর্বোচ্চ ২০০ রানও রয়েছে টাইগার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচে ৮১ রানে অপরাজিত মুশফিক। তার ২০৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চারের মার।
যখন ব্যাটিংয়ে নামেন তখন টেস্ট স্কোরবোর্ডে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ২৯২২। তিন হাজার রানের ক্লাবে ঢুকতে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৭৮ রান। তৃতীয় দিনের শেষ ওভারে ইশান্ত শর্মার করা পঞ্চম বলটি পুল শট খেলে চারের মাধ্যমে দেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজার রানের ছোট্ট এবং সম্মানিত ক্লাবের ইতিহাসে ঢুকে যান তিনি।
উইকেপকিপার ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দীর্ঘমেয়াদী এই ফরমেটে চারটি শতক ও ১৫ টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্টেও দেড়শ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বপ্রথম এই রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান সাবেক ক্রিকেটার ‘মি ফিফটি’ খ্যাত হাবিবুল বাশার সুমন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে ৫০ টেস্ট খেলেন তিনি । ৯৯ ইনিংসে ৩০.৩৭ গড়ে ৩ হাজার ২৬ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টেস্টে তার ৩টি শতক ও ২৪টি অর্ধশতক রয়েছে।
দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজার রান পূর্ণ করেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব আল হাসান এই ক্লাবে প্রবেশ করেন। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকুর রহিম।
৪৭ টেস্টে ৩৪৬৭ রান করে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ তামিম ইকবালের। এসময় আটটি শতক ও ২০টি অর্ধশতক আছে তার অর্জনের খাতায়। তার পরেই আছেন দেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৪৭ ম্যাচে ৩২৯৫ রান তার, হাঁকিয়েছেন চারটি শতক ও ২০টি অর্ধশতক। দেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন তিনি।
এছাড়াও আরেকটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে টাইগার বাহিনীর টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আর মাত্র ছয়টি ডিসমিসাল নিতে পারলেই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ও প্রথম ১০০ ডিসমিসাল করার গৌরব অর্জন করবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি/জেএইচ