এ রিপোর্ট লেখা অবধি ৫৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে অপরাজিত আছেন আছেন দিমুথ করুনারত্নে (৯৪)।
চতুর্থ দিনের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার উপল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৬ রান করেন থারাঙ্গা।
দিনের প্রথম সেশন শেষে ৪৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর ফিরে মোস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস। ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কাটার মাস্টারের বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হন মেন্ডিস। ৯১ বলে মেন্ডিসের সাজানো ইনিংসের শেষ হয় দলীয় ১৪৩ রানের মাথায়। মেন্ডিস-করুনারত্নে জুটিতে আরও ৮৬ রান যোগ করে লঙ্কানরা। এর পর লঙ্কান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। মুশফিকের হাতে জমা পড়ে চান্দিমালের উইকেট। ফেরার আগে চান্দিমাল করেন মাত্র ৫ রান। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
দলীয় ১৭৬ রানের মাথায় উইকেট শিকারে যোগ দেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন গুনারত্নেকে। মাত্র ৭ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। চতুর্থ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
এর আগে তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার ব্যাটিং করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করেছিল। সমান ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও উপল থারাঙ্গা। তবে ৭৫ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
রঙ্গনা হেরাথরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করেছিল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৮ করেন দিনেশ চান্দিমাল। তবে অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। মেহেদি হাসান মিরাজ নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, শুভাষিশ রায় ও সাকিব আল হাসান।
শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের জবাবে সফরকারী বাংলাদেশ সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরিতে (১১৬) ৪৬৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। যেখানে ১২৯ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর এই প্রথম এক ইনিংসে বাংলাদেশের সাত ব্যাটসম্যান ৩০ রানের বেশি করেন। হাফসেঞ্চুরির দেখা পান সৌম্য সরকার, মুশফিক ও মোসাদ্দেক হোসেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে চার উইকেট করে দখল করেন হেরাথ ও লাকসান সানদাকান। আর বাকি দুটি উইকেট যায় সুরাঙ্গা লাকমালের শিকারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ, ২০১৭
এমআরপি