ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ঐতিহাসিক জয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন নান্নু

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
ঐতিহাসিক জয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন নান্নু শততম টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন নান্নু (বামে)

‘জয় বাংলা সিরিজে’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্ট ম্যাচটি জয়ের আগে বিদেশের মাটিতে মোট তিনটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এর দুটি হলো ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। অন্যটি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সিরিজের দুই টেস্টের দুটিতেই জয় নিয়ে প্রথমবারের মতো বিদেশ বিভুইয়ে হোয়াইটওয়াশের গৌরব লাভ করেছিল মাশরাফি ও তার দল।

তবে ওই সিরিজে স্বাগতিক ক্যারিবীয়দের প্রথম সারির খেলোয়াড়দের কেউই অংশ না নেয়ায় জয়টি তেমন আলোচনায় ছিল না। আলোচনায় ছিল না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সালের ওই জয়টিও।

প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলে।

কিন্তু, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে নিজেদের শততম টেস্ট জিতে বিশ্ব ক্রিকেটে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ একটিই। আর সেটা হলো ক্রিকেটের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ও শক্তি বিবেচনায় ওই দুই দলের চেয়ে ঢের শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা। আইসিসি’র টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে লঙ্কানরা যেখানে সপ্তম স্থানে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৯-এ আর সে কারণেই জয়টিকে ঐহিতাসিক বললেন টাইগার ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

‘এটা আমাদের ঐতিহাসিক জয়। যেখানে সিরিজের নাম ‘জয় বাংলা’ সেখানে স্বাধীনতার মাসে জয়টি আমাদের সাথেই থাকলো। এটা আমাদের জন্য একটা বিরাট ব্যাপার এটা আমাদের ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। ’

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিকদের কাছে সফরকারীরা ২৫৯ রানর বড় ব্যবধানে হারলেও দ্বিতীয়টিতে ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা আনতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক এমন একটি জয়ের জন্যই পুরো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এতিদিন অপেক্ষায় ছিল বলেও জানান এই টাইগার প্রধান নির্বাচক।

‘এমন একটি জয় আমরা আশা করছিলাম। গত চারটি ম্যাচ আমরা পাঁচদিন করে খেলে গেছি। কিন্তৰ ফলাফল পাচ্ছিলাম না। তাই একটি ম্যাচে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেটা ঐহিতাসিক এই ম্যাচে হলো। এটা আমাদের অনেক বড় একটি অর্জন নিয়ে এসেছে। ’

নান্নু আরও যোগ করেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরমেট। নির্বাচক হিসেবে আমি গত ছয় বছর যাবৎ কাজ করছি। লংগার ভার্সন ক্রিকেটকে গোছাতে আমরা অনেক কাজ করেছি যেন আমরা পাঁচদিন অনবরত খেলতে পারি। আর সেটা করতে পারলেই একদিন না একদিন আমরা টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো। আশা করছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা ভালো একটি অবস্থানে পৌঁছে যাব। ’

টাইগারদের ঐতিহাসিক এই জয়ের দিনে তামিম খেলেছেন ৮২ রানের ম্যাচ উইনিং এক ইনিংস। কম যাননি সাকিবও। প্রথম ইনিংসে ১১৬ রান করে দলকে ৪৬৭ রানের সংগ্রহ এনে দিয়ে, দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। তাই দুই টাইগারকেই ভাসালেন প্রশংসার জোয়ারে, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে এমন ব্যাটিং করাটা সহজ নয়, তারপরও তামিম পেরেছে। তবে ওইভাবে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে সে ঠিক করেনি। শেষ করে আসা উচিত ছিল। ভালো খেলেছে সাকিবও। প্রথম ইনিংস ওর সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংস দুর্দান্ত বোলিং সব কিছুই ভালো ছিল। ’

ক্রিকেটের যে ফরমেটে বাংলাদেশ দুর্বল বলে সবাই জানে সেই টেস্ট ম্যাচেই শক্তিশালী লংকানদের হারিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরলো। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টাইগারদের সবচেয়ে প্রিয় ওয়ানডে সিরিজ। শততম টেস্ট জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেদের প্রিয় ফরমেটে টাইগাররা আরও দারুণ কিছু করবেন সেই আশাতো এখন করাই যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।