সবাই তো বললো মিস করবেন, তাকে ছাড়া খেলা দেখতে লাগবে বড্ড খারাপ! কিন্তু খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা আবিষ্কার মাশরাফি বিন মর্তুজার অনুভূতি কী? শেষ টি-২০ খেলে ফেললেন, আপনার অনুভূতি... উত্তরে ম্যাশ বলেন, আমার থেকে বেশি খারাপ আর লাগবে না কারো, স্বাভাবিক। আমার পরিবারের খারাপ লাগছে, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভক্তদেরও।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বিদায়ের সঙ্গে সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া অধিনায়ক বলেন, আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। আল্লাহর যা ইচ্ছে তাই হয়। শেষ ম্যাচে জয় পেলাম, খেলা শেষে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়েছি। আশা করছি নতুনদের হাতে আগামীতে দল আরো ভালো ফলাফল করবে।
শেষবারের মতো বলেই কিনা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দূরে ফিল্ডিং করছিলাম। সাকিব কাছাকাছি ছিল, সে বোলারদের বোঝাচ্ছিল, ফিল্ড সেট করছিল। আসলে আজ কেন জানি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলাম না!
সাকিব আল হাসান পরবর্তী অধিনায়ক, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, তার জন্য শুভ কামনা। সে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পুরো দলের জন্য শুভ কামনা। এছাড়া নতুনরা একে একে ভালো করবে, এটাই প্রত্যাশা করি।
দ্বিতীয় এই টি-২০ খেলায় ম্যাচ সেরা সাকিবের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন মাশরাফি। বলেন, সাকিব ভালো খেললে পুরো কাজটাই সহজ হয়ে যায়।
এদিকে টেস্ট-ওডিআইয়ের মতো টি-২০ সিরিজও ড্র হওয়াতে পুরস্কার গ্রহণের সময় দেখা যায় দুই অধিনায়ককে ট্রফি ভাগ করে নিতে। সেসময়ও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৬ সালে খুলনায় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মাশরাফির। এরপর থেকে ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। বল হাতে নিয়েছেন ৪২ উইকেট; যা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। বোলিং গড় ৮ দশমিক ৪ করে। সেরা বোলিং ১৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট।
এছাড়া ৩৯ ইনিংসে ব্যাট করে তিনি করেছেন ৩৭৭ রান। সর্বোচ্চ ৩৬। অপরাজিত ছিলেন ১১ বার। বৃহস্পতিবারের ম্যাচসহ রেকর্ড ২৮ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। তার নেতৃত্বতে বাংলাদেশ দল জিতেছে ১০টি ম্যাচ। যা বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ জয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
আইএ/জেডএম